CPIM: শুধু সিপিএম নয়, তৃণমূল নেতাদেরও নাম থাকবে… বাম আমলে চাকরি নিয়ে জীবেশ সরকারের মুখে কেন এমন কথা?
CPIM JOB: দু'দিন আগেই ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, সিপিএম নেতাদের কোন কোন আত্মীয় বাম আমলে চাকরি পেয়েছেন তার তালিকা হবে।
কলকাতা: বাম আমলে চিরকুটে চাকরি হতো বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। এবার তারই পাল্টা খোঁচা সিপিএম নেতা জীবেশ সরকার, সুজন চক্রবর্তীদের। সুজন চক্রবর্তী বলেন, “শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। পুরোটা প্রকাশ করবেন। বাম আমলে কবে কবে চাকরি হয়েছে, কোথায় কোথায় চাকরি হয়েছে, কার কার চাকরি হয়েছে পুরো তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করলে বুঝতে পারবেন, কতটা স্বচ্ছতা ছিল। আমি ব্রাত্যবাবুকে বলব, ওই তালিকায় যেন ব্রাত্য বসুর নিজের নামও থাকে। উনিও বাম আমলেই চাকরি পেয়েছেন। ওনারা বলেছিলেন ফাইল বার করবেন, ওনাদের দলের ফাইল বেরোচ্ছে। ব্রাত্যবাবু বলছেন, তালিকা প্রকাশ করবেন। ওনাদের দলের তালিকা ধীরে ধীরে বার হচ্ছে।” শুধু সুজন চক্রবর্তীই নন, এ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জীবেশ সরকার। শনিবার শিলিগুড়িতে এই বাম নেতা বলেন, তৃণমূল তালিকা প্রকাশ করলে তাতে সিপিএম নেতাদের আত্মীয়দের পাশাপাশি তৃণমূলের বহু নেতার আত্মীয়র নামও পাওয়া যাবে। কারণ, নিয়োগের পদ্ধতি ছিল মেরিটের ভিত্তিতে। রাজনৈতিক আনুগত্যের ভিত্তিতে নয়।
প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, সিপিএম নেতাদের কোন কোন আত্মীয় বাম আমলে চাকরি পেয়েছেন তার তালিকা হবে। ব্রাত্য বসুর বক্তব্য ছিল, সিপিএমের হোলটাইমার নেতাদের স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ কেউ না কেউ স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “পার্টি থেকে আমরা একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করব, অমুক জায়গায় আপনি অমুক কাউন্সিলর ছিলেন, তমুক চেয়ারম্যান ছিলেন, তমুক গ্রামপঞ্চায়েতে লোক ছিলেন, হোলটাইমার ছিলেন, আপনার বাড়ির এই এই লোকজন স্কুল বা কলেজে এই পদে চাকরির সঙ্গে জড়িত। কীভাবে করব সেটা এখনই বলছি না।”
জীবেশ সরকার বলেন, “আগে ওরা আয়নায় নিজেদের মুখ দেখুন। ওদের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে। বিধায়ক জেলে। ইডি, সিবিআই আদালতের নির্দেশে এসেছে। ফলে জেলায় জেলায় ওদের তালিকা নিয়ে ভাবার বিষয় নেই। ওরা তালিকা প্রকাশ্যে আনুন।”