AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari: ‘মমতাকে ছেড়ে রাখা হয়েছে, অভিষেককে যেন না ছাড়া হয়’, সুপ্রিম-নির্দেশের পর শুভেন্দু

Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল। বেঞ্চের নির্দেশ, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। তবে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে না।

Suvendu Adhikari: 'মমতাকে ছেড়ে রাখা হয়েছে, অভিষেককে যেন না ছাড়া হয়', সুপ্রিম-নির্দেশের পর শুভেন্দু
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
| Edited By: | Updated on: May 26, 2023 | 3:24 PM
Share

কলকাতা: কুন্তল ঘোষের চিঠি প্রসঙ্গে যে মামলা, তাতে রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যাতে কঠোর কোনও পদক্ষেপ না করতে পারে, তাই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। অর্থাৎ এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল তা বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালতও। তবে ২৫ লক্ষ টাকার যে জরিমানা, তাতে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ। আদালতের এই নির্দেশের পরই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সারদাকাণ্ডে সিবিআই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড় দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে যেন তেমনটা না হয়।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “উনি আর্থিক জরিমানায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ছাড়া আর কিছু পাননি। স্বাভাবিকভাবে যে উদ্দেশ্য নিয়ে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন, তারা মনে করেছে এটা একটা বড় দুর্নীতি। তদন্ত হস্তক্ষেপ করতে চায়নি কোর্ট। বিরোধী দলনেতা হিসাবে আমি এই নির্দেশকে স্বাগত জানাই। যারা গ্রেফতার হয়েছে, কালেক্টর, তাদের সঙ্গে এখানকার শাসকদলের মাথাদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। আমি আশা করব এজেন্সি যেভাবে সারদা চিটফান্ড দুর্নীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে রেখেছেন, অন্তত এ ক্ষেত্রে সেটা করবেন না। গোটা পশ্চিমবাংলার জনগণ এটা চাইছেন, মাথাকে ধরতে হবে।”

ধর্মতলায় শহিদ মিনারে এক সভামঞ্চ থেকে অভিষেকের বক্তব্য ছিল, মদন মিত্রদের গ্রেফতারির পর বারবার তাঁর নাম নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল এজেন্সির তরফে। অন্যদিকে নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ আদালত ও হেস্টিংস থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁকে ইডি-সিবিআই অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। আদালত জানায়, এ অভিযোগ যেহেতু গুরুতর, তাই এজেন্সি চাইলে অভিষেকের সঙ্গে কথা বলতে পারে।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক। শীর্ষ আদালতের রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে এই মামলা বদলে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে যায়। তবে নির্দেশে হেরফের হয়নি। এরপর ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও সেই জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত যে নির্দেশ তা বহাল থাকে। সঙ্গে ৩৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই সিবিআই তাঁকে ডেকে পাঠায়। অভিষেকও সুপ্রিম কোর্টে যান। শুক্রবার সুপ্রিম নির্দেশেও অস্বস্তি বহাল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের।

এদিনের সুপ্রিম-নির্দেশ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “এর আগেও বহুবার অভিষেক বাঘের বাচ্চার মতো ইডি-সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছে। তবে একটা জিনিস বুঝলাম না, কুন্তল ঘোষের মুখে অভিষেকের নাম বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সিবিআই অফিসাররা চেষ্টা করছে, আর তার জন্য যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠি যেখানে শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরীদের টাকা নেওয়ার কথা লেখা আছে, তাহলে কেন তাঁদের ডাকা হবে না?”