TMC-CPIM: গণশক্তির বিজ্ঞাপনে মমতার ছবি দেখিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর, অতীতে মোদীর ছবিও ছাপা হয়েছে, জবাব সুজনের
Ganashakti Advertisement: বিজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে, ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি নতুন মেডিক্যাল সায়েন্স ও রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বড় করে একটি ছবিও ছাপানো হয়েছে ওই বিজ্ঞাপনে।
কলকাতা: চব্বিশের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এক ছাতার তলায় এসেছে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল সহ অন্যান্য অবিজেপি দলগুলি। সীতারাম ইয়েচুরি, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সনিয়া গান্ধীরা মিলে তৈরি করেছেন ‘ইন্ডিয়া’ জোট। সেই নিয়ে নাগাড়ে খোঁচা দিয়ে যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি শিবির। আর এবার সিপিএম মুখপত্র গণশক্তির প্রথম পাতার ছবি টুইট করে তোপ দাগলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গণশক্তির প্রথম পাতায় একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। সেই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে, ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি নতুন মেডিক্যাল সায়েন্স ও রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বড় করে একটি ছবিও ছাপানো হয়েছে ওই বিজ্ঞাপনে।
আর এই নিয়েই খোঁচা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এই ছবি কি তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের হাত ধরাধরির পথ প্রশস্ত হচ্ছে? সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির অভিযোগ মনে করিয়ে দিয়ে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে কর্মীরা মারা গিয়েছেন, কিন্তু ঘাসফুলেই মজে রয়েছে কাস্তে-হাতুড়ি-তারা!’ এর পাশাপাশি আরও একটি ছবি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। সেটি দিল্লির ছবি। মণিপুরের ঘটনার প্রতিবাদে পোস্টার হাতে পাশাপাশি বসে রয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় ও সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
যদিও শুভেন্দু গণশক্তির যে বিজ্ঞাপনটির কথা উল্লেখ করছেন, সেটি সরকারি কোনও বিজ্ঞাপন নয়। একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন মমতা, সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন। তবে বর্তমানে জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোট ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ ঘিরে যে চর্চা চলছে, সেই আবহে শুভেন্দুর এই টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুভেন্দু অধিকারীর এই টুইট নিয়ে পাল্টা দিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর বক্তব্য, গণশক্তি পত্রিকায় তৃণমূল সরকার বিজ্ঞাপন দেয় না। শুভেন্দু অধিকারী যখন মন্ত্রী ছিলেন, তখনও পেত না। গণশক্তি পত্রিকা আলাদা জিনিস। আর বিজ্ঞাপনটি আলাদা জিনিস। সেই কারণেই তো ওটার জন্য আলাদা জায়গা থাকে। সেটা তো পয়সার বিনিময়ে সব কাগজেই দেয়।’ অতীতে নরেন্দ্র মোদীর ছবিও ছাপা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন সুজন চক্রবর্তী। বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রেলের বিজ্ঞাপন যখন এক-আধবার এসেছে, নরেন্দ্র মোদীর ছবিও ছাপা হয়েছে। ওটা বিজ্ঞাপন। পত্রিকার খবর নয়।’ বিরোধী দলনেতা বিজ্ঞাপন আর খবরের ফারাক বোঝেন না বলেই কটাক্ষ সুজনের।
সিপিএম নেতার বক্তব্য, ‘যদি কোনও বিজ্ঞাপনে অশ্লীলতা বা সমাজ বিরোধী কিছু না থাকে, তাহলে আমরা বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে কোনও বাছ-বিচার করি না। যদি রাজ্য সরকার কোনও বিজ্ঞাপন দিত, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকত, তাহলে তো আমরা ছাপতে বাধ্য। এটা তো বিজ্ঞাপনের আইনের মধ্যেই রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী সব জেনে বুঝে এসব বলছেন।’