Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভোটের আগে ‘ঋণমুক্ত’ হতে মরিয়া বিধায়করা, হুড়োহুড়ি বিধানসভায়

মনোনয়ন না পেলে এই 'নো ডিউ সার্টিফিকেট'-র প্রয়োজন নেই। তাই অনেক বিধায়কের কাছে এই 'নো ডিউ সার্টিফিকেট' প্রয়োজনীয়তা নেই, তা-ও বলছেন তাঁরা। তাঁদের অনেকের মতে, "আগে তো টিকিট পাই, তারপর ভাবা যাবে।"

ভোটের আগে 'ঋণমুক্ত' হতে মরিয়া বিধায়করা, হুড়োহুড়ি বিধানসভায়
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 03, 2021 | 10:36 PM

কলকাতা: কোনও বকেয়া নেই বিধায়কদের (MLA)। তাই ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি চলছে বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। না হলে যে মনোনয়নপত্র দাখিলে সমস্যা হয়ে যাবে! তবে ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) মুখে শংসাপত্রের জন্য আবেদন করলেই পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, বিধায়কের ‘ঋণমুক্ত’ থাকার দাবি আদৌ বাস্তবসম্মত কিনা, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত নয় বিধানসভার সচিবালয়। তাই আগে দাবির সত্যতা যাচাই করছে তারা।

কোথায় সেই তথ্য যাচাই করছে সচিবালয়?

বিধায়কদের আবাসন বা হস্টেলে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সেখানে ফোন করে জানতে চাওয়া হচ্ছে কোনও বিধায়কের আবাসন ভাড়া বাকি আছে কি না? নিয়মানুযায়ী, আবাসনের জন্য দৈনিক এক টাকা করে ভাড়া দিতে হয় বিধায়কদের। অর্থাৎ মাসে ৩০ টাকা দিতে হয় তাঁদের। যদিও কখনও সেটাও বকেয়া থাকে বিধায়কদের।

মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে যদিও মাসিক ভাড়া এক হাজার টাকা। একদা দু’হাজার টাকা ভাড়া বরাদ্দ হলেও মন্ত্রীদের আবেদনের ভিত্তিতে তা এখন এক হাজার টাকা। তবে কলকাতার বিধায়করা আবাসন পান না। এ ছাড়াও সঙ্গে রয়েছে বিধানসভার লাইব্রেরি থেকে বই নেওয়া। বই নিলেও আবার তা ফেরত দিয়েছেন তো বিধায়করা? তা নিয়ে লাইব্রেরিতে ফোন করে খোঁজ নিচ্ছে বিধানসভার সচিবালয়।

আরও পড়ুন: উত্তর-দক্ষিণে যুযুধান: রবিবার ব্রিগেডে মোদী, মমতা নামছেন শিলিগুড়ির পথে

আবাসনের ভাড়া, লাইব্রেরি থেকে বই জমা দেওয়ার পাশাপাশি বিধায়কের বাড়ির ইলেকট্রিক বিল মেটানোও ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’-র অংশ। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধায়কের বাড়ির এলাকার ইলেকট্রিক অফিস থেকে বকেয়া না থাকার নথিপত্র নিতে হয়। তবে মনোনয়ন না পেলে এই ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’-র প্রয়োজন নেই। তাই অনেক বিধায়কের কাছে এই ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’ প্রয়োজনীয়তা নেই, তা-ও বলছেন তাঁরা। তাঁদের অনেকের মতে, “আগে তো টিকিট পাই, তারপর ভাবা যাবে।”

যদিও বিধায়কদের আরেকটি অংশ পুনরায় দলীয় টিকিট পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত। সে কারণে ওই অংশের বিধায়করা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’ সংগ্রহ করছেন।

আরও পড়ুন: শুভেন্দু, রাজীব, শ্রাবন্তী, রুদ্রনীল…. দেখে নিন বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা