Recruitment Scam: শান্তনুর মতো আরও কেউ ঘাপটি মেরে নেই তো? সব কর্মীর ঠিকুজি খতিয়ে দেখবে বিদ্যুৎ দফতর
Power Department: কেউ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য কিনা, তার নিখুঁত তথ্য তৈরি করে রিপোর্ট আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছে। সূত্রের খবর, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। তিনি রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের (Department of Power Supply) কর্মী ছিলেন। পাশাপাশি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন। শান্তনুর গ্রেফতারির পর অবশ্য ঘুম ভেঙেছে বিদ্যুৎ দফতরের। শান্তনুকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে একজন ব্যক্তি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সরকারি দফতরের কর্মী হিসেবে রয়ে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নিয়ে যে দফতরের মুখ পুড়েছে, তা নিজেদের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের একাংশও মেনে নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণে এবার আরও নজরদারি বাড়াতে চলছে বিদ্যুৎ দফতর।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ প্রতিটি জেলার প্রত্যেক প্রান্তে থাকা বিদ্যুৎ দফতরে অফিসের কর্মরত কর্মীদের ঠিকুজি খতিয়ে দেখা হবে। কেউ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য কিনা, তার নিখুঁত তথ্য তৈরি করে রিপোর্ট আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছে। সূত্রের খবর, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।
এমনকী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে বেতন নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কাজ করছিলেন, সেটা নিয়েও অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কেউ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হলে তাঁকে হয় কাজ ছাড়তে হবে কিংবা তিনি বেতন পাবেন না। এক্ষেত্রে শান্তনু কীভাবে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি সরকারি দফতরের কর্মী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে বিদ্যুৎ দফতর।
এদিকে সূত্রের খবর, রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, শান্তনু ভোটে দাঁড়ানোর জন্য তাঁর কাছে অনুমতি চেয়েছিল। তিনি অনুমতি দিয়েও ছিলেন। কিন্তু তারপর শান্তনু যে জিতেছে, সেই কথা আর মন্ত্রীকে জানায়নি। তাছাড়া মন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে এতদিন কোনও অভিযোগও আসেনি। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে তিনি নিশ্চয়ই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেন। শান্তনু যা করেছে, তা যে অপরাধ সে কথা মেনে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু একজন মন্ত্রী পক্ষে দফতরের কোথায় কী হচ্ছে, তার সবটুকু জানা সম্ভব নয় বলেই ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস।