AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sandip Ghosh: সন্দীপ বাড়ি আছো? সিবিআই কড়া নাড়তেই প্রতিবেশীরা বলছে ‘ম্যাজিক দেখতে চলে এলাম’

Sandip Ghosh: প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিবিআই এর দুর্নীতি দমন শাখা সন্দীপের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল। রুজু হয়েছিল আর্থিক দুর্নীতির মামলা। একদিন আগেই আলিপুর আদালতে সেই এফআইআর এর কপি দেওয়া হয়।

Sandip Ghosh: সন্দীপ বাড়ি আছো? সিবিআই কড়া নাড়তেই প্রতিবেশীরা বলছে ‘ম্যাজিক দেখতে চলে এলাম’
বাড়ির সামনে জমেছে ভিড় Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2024 | 10:01 AM
Share

কলকাতা: সন্দীপ বাড়ি আছো? লাগাতার বাজাল কলিং বেল, ফোনেও মিলল না সাড়া। সাতসকালেই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হল সিবিআই আধিকারিকদের। এতদিন ডাক পড়ছিল সিজিওতে, এবার একেবারে বাড়ির দরজায় কড়া নাড়লেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। খবর চাউর হতেই ততক্ষণে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ভিড় জমতে শুরু করেছে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়ির সামনে। ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই সন্দীপের বাড়িতে গেলেও প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর ৮টা নাগাদ বাড়ির দরজা খুললেন সন্দীপ। কিন্তু, সিবিআইয়ের সামনেই আছড়ে পড়ল জনতার ক্ষোভ। 

বাইরে দাঁড়িয়েই এক মহিলা বললেন, “খবর পেয়ে চলে এলাম। চাই এ ধরনের পাবলিক যেন দেশে না থাকে। এ রকম মানুষ থাকার থেকে না থাকাই ভাল।” পাশে দাঁড়িয়ে আর এক ভদ্রলোক বললেন, “এ লোকের শাস্তি চাই।” উদ্বেগের সঙ্গে আর এক প্রতিবেশী বললেন, “এত বড় কাজ করেও খোলা হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে কী করে! সেটাই তো দেখছি। এদের ধরে ফাঁসি দেওয়া উচিত।” আর একজন বললেন, “ম্যাজিক দেখতে এসেছি। পিসি সরকারের ম্যাজিক দেখেছি এবার এর ম্যাজিক দেখতে এসেছি। এ যে কী ম্যাজিক করেছে তা সাড়া বিশ্ব দেখছে। সিবিআই তদন্ত করে লাভ নেই। এর ফাঁসি দেখতে চাই।” 

প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিবিআই এর দুর্নীতি দমন শাখা সন্দীপের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল। রুজু হয়েছিল আর্থিক দুর্নীতির মামলা। একদিন আগেই আলিপুর আদালতে সেই এফআইআর এর কপি দেওয়া হয়। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট (নন মেডিকেল) আখতার আলি দীর্ঘদিন আগেই দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে তিলোত্তমা কাণ্ডের পরে সিট গঠন করেছিল রাজ্য। এই সিট গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলে আবার হাইকোর্টের দারস্থ হন আখতার। তাঁর দাবি ছিল, তদন্ত করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। তার আবেদেনে সাড়া দেয় কোর্ট। তারপরই তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।