
নয়াদিল্লি: আর কয়েকদিন পরই নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে বামেরা। এদিকে, সর্বভারতীয় স্তরে বিভিন্ন বৈঠকে কংগ্রেস ও তৃণমূলকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, বাংলায় ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে কি কাছাকাছি আসছে তারা? এই নিয়ে কী ভাবছে বামেরা? মুখ খুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন সেলিম। কংগ্রেস ও তৃণমূলের কাছাকাছি আসার জল্পনা তিনি বলেন, “কোথায় কে মিটিং করছেন জানি না। কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থনের জন্য কংগ্রেসের তরফে ফোন করা হয়েছিল। বামেরা কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করেছে। ওরা যুক্তি দেয়, ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আমরা নিজেদের মধ্যে অযথা কেন তিক্ততা বাড়াব। একুশের নির্বাচনে যেহেতু ওরা বামফ্রন্টের সমর্থনে লড়েছিল, সেটাই চালিয়ে যেতে চায়। একুশ থেকে পঁচিশ ওরা কন্টিনিউ করতে চায়। আর পঁচিশ থেকে ছাব্বিশে ওরা কোথায় যাবে, সেটা ওরা ঠিক করবে। কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত তো আমরা নিতে পারব না। ”
গত বছর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে অধীর চৌধুরীর জায়গায় শুভঙ্কর সরকার দায়িত্ব পাওয়ার পর বাম-কংগ্রেসের নির্বাচনী জোট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত বছরের নভেম্বরে রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের আসন সমঝোতা হয়নি। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি ছাব্বিশের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা হবে না?
এই পরিস্থিতিতে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ফের বাম-কংগ্রেস হাত মিলিয়েছে। ২০১৬ এবং ২০২১ সালে কালীগঞ্জে লড়েছিল কংগ্রেস। সমর্থন করেছিল বামফ্রন্ট। ২০১৬ সালে এই আসনে জিতেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। এবার এই আসনে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে বামেরা। তারই মধ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূলের কাছাকাছি আসা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তা নিয়ে বামেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।