Fire in Kolkata: ঠিক কোন কারণে বড়বাজারের হোটেলে এত বড় আগুন? দমকল মন্ত্রী বলছেন বড় কথা
Fire in Kolkata: প্রশ্ন উঠছে হোটেলের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। এদিকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলছেন ঘটনার পর থেকে হোটেলের মালিকের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

কলকাতা: কাশ্মীরে ২৬ পর্যটকের মৃত্যুতে যখন শোকে বিহ্বল গোটা দেশ। তালিকায় বাংলারও তিন পর্যটক। শোকের ছায়া বাংলাতেও। এরইমধ্যে কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল ১৪ জনের। ফিরল স্টিফেন কোর্ট, আমরির ছায়া। মঙ্গলবার রাতে বড়বাজারের হোটেলে লেগে গেল ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। তাতেই ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনেরই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল। কলকাতা মেডিকেল কলেজে মোট ন’জনকে আনা হয়েছিল। ন’জনের মধ্যে চারজনকেই মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল বলে খবর। গোটা ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে দমকল থেকে পুলিশ। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
প্রশ্ন উঠছে হোটেলের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। এদিকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলছেন ঘটনার পর থেকে হোটেলের মালিকের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। চলছে তল্লাশি। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় সিট গড়ে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। জোরকদমে চলছে তদন্ত।
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলছেন, “খবর পেয়ে আমরা ওখানে গিয়েছিলাম। হোটেল কর্তৃপক্ষের অনেক গাফিলতি ছিল। ওদের সিস্টেম কোনও কাজ করেনি। তার সঙ্গে পুরো বিল্ডিংটা গ্লাস দিয়ে ঢাকা ছিল। আগুন বা ধোঁয়া বের হওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না। সে কারণেই দমবন্ধ হয়ে লোকজন মারা গিয়েছে। আগুন নেভানোর সময় ভিতরে ঢুকে আমাদের লোকজনকে সেই কাচ ভাঙতে হয়েছে। হোটেলের বিরুদ্ধে আইনের দিক থেকে যা যা অ্যাকশন নেওয়ার সবটাই নেওয়া হবে।” প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাঁরা বলছেন জলের যে ট্যাঙ্ক ছিল সেখান থেকে জল নিয়ে শুরুতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে হোটেলের লোকজন। কিন্তু সেখানেও পর্যাপ্ত জল ছিল না।
