TET Exam: পাশের হারে সবার শেষে ২০২৩? কেমন ছিল ২০১৪, ২০১৭, ২০২২ সালের TET?
TET Exam in West Bengal: ২০২২ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল সেখানে যোগ্য প্রার্থী প্রায় ৫৩ হাজারের মতো। সেখানে এবার নতুন করে পাশ করতে পেরেছে ৬৭৫৪ জন। এখন প্রায় ৬০ হাজার প্রার্থীর মধ্যে লড়াই চলবে প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদে চাকরি পাওয়া নিয়ে। অর্থাৎ পাশের হার কমলেও শূন্যপদ ভরাটের প্রতিযোগিতার যে লড়াই তাও নেহাৎ কম নয়।

কলকাতা: দীর্ঘ চাপানউতোর, টানাপোড়েনের মধ্যে অবশেষে সামনে এসেছে ২০২৩ সালের টেটের ফল। আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৩০৯০৫৪ জন। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৪৭ জন। কিন্তু পাশ করেছেন মাত্র ৬৭৫৪ জন। সেটাই যেন বর্তমানে সবথেকে বড় চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশের হার বলছে ২.৪৭ শতাংশ। যা বিগত কয়েক বছরের টেট পরীক্ষার নিরিখে পাশের রেকর্ড মাত্রায় কম বলে মনে করা হচ্ছে। আবেদনকারী, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েক লক্ষ হওয়ার পরেও পাশের হার কেন এত কম তা নিয়েও নানা মহল থেকে নানা কথা শোনা যাচ্ছে।
কী বলছে ২০২২?
এদিকে আবার, ২০২২ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল সেখানে যোগ্য প্রার্থী প্রায় ৫৩ হাজারের মতো। সেখানে এবার নতুন করে পাশ করতে পেরেছে ৬৭৫৪ জন। এখন প্রায় ৬০ হাজার প্রার্থীর মধ্যে লড়াই চলবে প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদে চাকরি পাওয়া নিয়ে। অর্থাৎ পাশের হার কমলেও শূন্যপদ ভরাটের প্রতিযোগিতার যে লড়াই তাও নেহাৎ কম নয়। অন্যদিকে ২০২২ সালের টেট পরীক্ষা হয়েছিল ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর। ডি.এড ও বি.এড মিলিয়ে প্রশিক্ষিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ লক্ষেরও বেশি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই পরীক্ষার ফল সামনে আসে। তাতে দেখা যায় পাশ করেছেন ১ লক্ষ ৫৪ হাজার পরীক্ষার্থী। সেই হিসাবে পাশের হার দাঁড়ায় ২৫.৬৬ শতাংশ। তবে তার মধ্যে এসে যায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। প্রক্রিয়া থেকে বাতিল হয়ে যান ৯৭ হাজার বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
কেমন ছিল ২০১৪ আর ২০১৭-র পাশের হার?
অন্যদিকে ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় শুধুমাত্র ডিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থী ছিল ১,৮৯,৫১৪ জন। পরীক্ষা হয় একুশ সালের শুরুতে। ফল প্রকাশ ২০২২ সালের শুরুতে। পাশ করেন ৯৮৯৬ পরীক্ষার্থী। সেই হিসাবে পাশের হার দাঁড়িয়েছিল ৫.২২ শতাংশ। তার আগে ২০১৪ সালেও বেরিয়েছিল বিজ্ঞপ্তি। টেট হয় ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০,০১,৩০১ জন। ফল সামনে আসে ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। দেখা যায় পাশ করেছেন ১,২৪, ৯৫২ জন। সেই হিসাবে পাশের হার ছিল ৬.২৪ শতাংশ। কিন্তু এবার যেন সব রেকর্ডই ভেঙে ফেলেছে ২০২৩।
