Trinamool councilor: অস্বস্তিতে পড়েছিলেন ফিরহাদ, বেজায় চটেছেন মমতা! শোকজ নোটিস গেল শচীনের কাছে
Trinamool councilor: রবিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম অকুস্থলে যান। কিন্তু, তার সামনেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। ঘটনা এমন মোড় নেয় যে শেষ পর্যন্ত এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন মেয়র। ঘটনার সময় থেকেই বারাবর উঠে আসে একটা লোকেরই নাম। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শচীন সিং!

কলকাতা: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে খাক নারকেলডাঙার রেলকোয়ার্টার বস্তি। আগুন নিভতেই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিল তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের খবর। তা নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে চাপানউতোর কম হয়নি। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শো-কজ নোটিস গেল কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শচীন সিংয়ের কাছে। তা নিয়েও ফের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতোর।
প্রসঙ্গত, রবিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম অকুস্থলে যান। কিন্তু, তার সামনেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। ঘটনা এমন মোড় নেয় যে শেষ পর্যন্ত এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন মেয়র। ঘটনার সময় থেকেই বারাবর উঠে আসে একটা লোকেরই নাম। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শচীন সিং! এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, ওই জায়গা কার্যত দখল করে রেখেছেন শচীন। ঝুপড়ি করতে নাকি টাকাও নিতেন তিনি। প্রতি ঝুপড়ি পিছু দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা নেওয়া হতো বলে অভিযোগ শচীনের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনের। মেয়র যখন ঘটনাস্থলে যান তখন এ নিয়ে শচীনের নামে মেয়রের কাছে নালিশও করতে যান তাঁরা। মেয়রকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভও দেখাতে দেখা যায় অনেককে।
এদিকে আবার মেয়র চলে যাওয়ার পর নারকেল ডাঙা থানার সামনে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সোচ্চার হন শচীন। সূত্রের খবর, এই সবটা নিয়েই বেজে চটেছেন মমতা। কেন থানার সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হল, কেন তাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ তা নিয়েই শচীনকে চিঠি দেওয়া হল কলকাতা পুরসভার তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফে। সূত্রের খভর, কলকাতা পুরসভার শাসকদলের মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত শচীন সিংকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন। ঠিকঠাক উত্তর না দিলে দলের তরফের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।





