AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

“যা দরকার হবে নির্দেশ দেবেন, চেষ্টা করব”, সৌমিত্র-জায়াকে বললেন মমতা

মমতা বলেন, "সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আমাদের মধ্যে, বিশ্বের চলচ্চিত্র জগতে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তাঁর চলে যাওয়া আমাদের বড় ক্ষতি।"

যা দরকার হবে নির্দেশ দেবেন, চেষ্টা করব, সৌমিত্র-জায়াকে বললেন মমতা
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Jan 14, 2021 | 8:04 PM
Share

কলকাতা: ‘অপু’ চলে গিয়েছেন বেশ কয়েক দিন আগে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) মৃত্যুর পর তাঁর প্রথম জন্মদিন। আর সেই দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উদ্বোধন করলেন সৌমিত্রর রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনীর। বাইপাসের ধারে কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটিতে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী দীপা চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।

উদ্বোধনে গিয়ে স্মৃতির মাধ্যমে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন মমতা। পাল্টা পাশে থাকার জন্য মমতাকে ধন্যবাদ জানালেন দীপা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জন্য, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্য যা করেছেন তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তার কাছে আমি বিশেষ কৃতজ্ঞ। অন্ধকারের মধ্যে তিনি আমাদের কাছে আলো দিয়েছেন। মমতা যেন আরও লড়াই করতে পারেন। ওঁর শরীর যেন ভাল থাকে।”

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, “সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আমাদের মধ্যে, বিশ্বের চলচ্চিত্র জগতে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তাঁর চলে যাওয়া আমাদের বড় ক্ষতি।” সৌমিত্র সম্পর্কে কথা বলে গিয়ে উঠে এল উত্তমকুমারের প্রসঙ্গও। মমতা জানান, উত্তমকুমার মারা যাওয়ার পর তাঁর পরিবারের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সুপ্রিয়া দেবীকেও সরকারি ৩ কামরার ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল তাঁর সরকার, সে কথাও বলেন মমতা। সবশেষে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তিনি দীপা চট্টোপাধ্যায়কে বললেন, “আপনার যা দরকার হবে আমাদের নির্দেশ দেবেন, আমরা চেষ্টা করব। আপনাদের জন্য করাটা আমাদের কর্তব্য।”

আরও পড়ুন: নাম না করে কুণালকে ‘পকেটমার’ বললেন শোভন

প্রসঙ্গত, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁকে শেষদেখা দেখতে সারা কলকাতা নেমে এসেছিল রাস্তায়। একই সঙ্গে হেঁটেছিলেন মমতা-বিমান। রাজনীতির উর্ধ্বে আবেগ দেখেছিল কলকাতা। মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল সব রঙ।