Afghanistan Blast: ফের নিশানায় তালিবানই, জালালাবাদ কেঁপে উঠল আরও শক্তিশালী বিস্ফোরণে

Bomb Blast targeted at Taliban in Jalalabad: তালিবানের তরফে এখনও হামলায় আহত বা মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। হামলার দায়ও স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন।

Afghanistan Blast: ফের নিশানায় তালিবানই, জালালাবাদ কেঁপে উঠল আরও শক্তিশালী বিস্ফোরণে
ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2021 | 9:47 AM

কাবুল: রবিবারও বিস্ফোরণে কাঁপল আফগানিস্তান(Afghanistan)। তবে এ বার নিশানা সাধারণ মানুষ নয়, বরং তালিবানি যোদ্ধাদের লক্ষ্য করেই আফগানিস্তানের উত্তরে অবস্থিত জালালাবাদে (Jalalabad) বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটানো হল।

শনিবারই আফগানিস্তানের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত জালালাবাদ শহরে পরপর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। তালিবান (Taliban) সূত্রে জানা গিয়েছে, তীব্র বিস্ফোরণের ফলে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ২০ জন। তালিবানের তরফে সেই হামলার তদন্ত শুরু করতেই রবিবার ফের হামলা চালানো হল তাদের উপর।

স্থানীয় সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকালের বিস্ফোরণ আরও শক্তিশালী ছিল। তালিবানের একটি ট্রাকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, বিস্ফোরণের জেরে বেশ কয়েকজন তালিবানি সেনা আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতেও দেখা যায়। এক সাংবাদিকের দাবি, কাবুল থেকে আসা যাওয়ার পথে ইন্টারচেঞ্জ রাস্তায় ওই বিস্ফোরণটি হয়েছে।

তবে তালিবানের তরফে এখনও হামলায় আহত বা মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। হামলার দায়ও স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর শনিবারই প্রথম হামলার খবর পাওয়া যায়। সূত্রের দাবি, তালিবানের (Taliban) নজরদারি গাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটানো প্রধান লক্ষ্য ছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরণে প্রাণ হারান দুই স্থানীয় বাসিন্দা। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন।

উল্লেখ্য, জালালাবাদ নাঙ্গারহার প্রদেশের রাজধানী, যা আইসিস-খোরাসানের প্রাণকেন্দ্র হিসাবেই পরিচিত। সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছে, এই হামলার পিছনেও  হাত ছিল আইসিস-কে-র। যদিও ওই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তরফে এখনও হামলার দায়স্বীকার করে নেওয়া হয়নি। তবে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের জন্যই পরিচিত আইসিস-কে যেভাবে গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটায়, সেই ছকেই শনিবারের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।

এর আগে গত মাসের ২৬ তারিখও কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে যে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল, তার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল আইসিস-কে। সেই দিন বিকেল ৫টা নাগাদ, যখন মার্কিন সেনা পাসপোর্ট যাচাই করে আফগানবাসীদের ঢুকতে দিচ্ছিল, সেই সময়ই আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে হামিদ কারজ়াই বিমানবন্দরের অ্যাবেই গেট। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয়। এ বারের বিস্ফোরণটি ছিল বিমানবন্দরের উল্টোদিকেই অবস্থিত ব্যারন হোটেলের সামনে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাবুলের বিভিন্ন জায়গায় আরও দুটি থেকে তিনটি বিস্ফোরণ হওয়ার খবর মেলে। সব মিলিয়ে মোট ১০৩ জনের মৃত্য়ুর খবর মেলে। এদের মধ্যে ৯০ জন আফগান নাগরিক, ১৩ জন মার্কিন সেনা।

এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তালিবানের তরফ থেকে দাবি করা হয়, আফগানিস্তানের মাটিকে তাঁরা কখনই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেবে না। অন্যদিকে, মার্কিন সেনার উপর হামলার বদলা নিতেও ড্রোন হামলা চালায় তালিবান। গত সপ্তাহেই অবশ্য মার্কিন সরকারের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, ওই ড্রোন হামলায় আইসিস-কে জঙ্গিদের বদলে ৭ শিশু সহ মোট ১০ জন নিরাপরাধ আফগানবাসীর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: Afghan Women: মেয়েরা কেন বঞ্চিত! প্রতিবাদে স্কুলে যাচ্ছে না আফগান ছাত্ররা