এখন ইয়াসের শক্তি সঞ্চয়ের সময়, পূর্ণিমা আর ভরা কোটালের ষাঁড়াশি চাপ বিপর্যয়ের মাত্রা বাড়াচ্ছে কয়েক গুণ
রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দিঘা (Digha) থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে 'ইয়াস' (Cyclone Yaas)। সোমবারই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা তার।
কলকাতা: রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দিঘা (Digha) থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ‘ইয়াস’ (Cyclone Yaas)। দিল্লি মৌসম ভবন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ইয়াস। এখন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে শক্তি সঞ্চয় করছে। সন্ধ্যার দিকে গতি নেবে সে। আগামী বুধবার, ২৬ মে ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড়টি। সাগর ও পারাদ্বীপের মধ্যে ইয়াস আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
ইয়াসের গতিপথ পরিবর্তনের আপাতত আর কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ পরিবর্তন করা আবহাওয়ার একটি বিশেষ উপাদান। কিছু অনুষঙ্গের ওপর নির্ভর করে। তারপরই বলা যেতে পারে, এই ঝড়ের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে কিনা। সোমবার থেকে উপকূলীয় অঞ্চলগুলি, যেমন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে।
সোমবার সকাল থেকেই কলকাতাতে মেঘলা আকাশ রয়েছে। ঘূর্ণাবর্ত ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে গিয়েছে। শক্তি বৃদ্ধি করছে ঘূর্ণিঝড়।
কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কোটাল ♦ আবহাওয়াবিদরা বলছেন পূর্ণিমায় আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।
♦ ফলে ভরা কোটালে দুশ্চিন্তাও রয়েছে উপকূলে।
♦ বুধবার বিকাল ৩.১৫ মিনিটে ভাটা রয়েছে।
♦ ইয়াস যদি বিকালে ল্যান্ডফল করে, তাহলে দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও কম।
♦ সকাল ৯.১৫ মিনিট ও রাত ৯.৩০ মিনিটে ভরা কোটাল রয়েছে।
♦ ল্যান্ডফলের সময় অনেকটা এগিয়ে এলে বিপদ কম।
♦ ল্যান্ডফলের সময় অনেকটা পিছিয়ে গেলে বিপদ বেশি।
‘ইয়াস’-এর মোকাবিলায় জেলায় জেলায় তুঙ্গে প্রস্তুতি। বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখা হচ্ছে না প্রস্তুতিতে। দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রশাসনিক স্তরে ঝড় মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। পাশাপাশি, সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের আগামী কালের মধ্যেই ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
কোভিড বিধি মেনে সেল্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভাগুলিকে। সম্ভাব্য বিপজ্জনক জায়গা চিহ্নিত করে এলাকাবাসীকে প্রয়োজনে স্থানান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে গেলে, দ্রুত তা সরানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জলের সরবরাহের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সমস্ত ছুটি আপাতত বাতিল করা হচ্ছে। জেলা এবং ব্লক স্তরের কন্ট্রোল রুমকে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় রাখতে হবে। আমফানের মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য বিদ্যুৎভবনেও বৈঠক হয়। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে সমস্ত পুরসভাগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমফানের দুর্যোগকেও ছাপিয়ে যাবে ‘ইয়াস’, কোন কোন জেলার কপালে বেশি বিপদ? কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কলকাতা?
♦♦♦ ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় নবান্নের তরফে প্রকাশ করা হল হেল্পলাইন নম্বর। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে যে কোনও বিপদে পড়লে ফোন করুন এই নম্বরগুলিতে ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬।