Maharastra: টিকা দিলেই মিলবে টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, করোনা রোধে অভিনব উদ্যোগ জেলা প্রশাসনের

Chandrapur, Maharashtra চন্দ্রপুর পুরসভা সূত্রে খবর, নভেম্বর মাসের ১২ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে পুরসভা পরিচালিত টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে যাঁরা টিকা নেবেন তাঁদেরই পুরস্কার জেতার সুযোগ রয়েছে। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে পুরসভা।

Maharastra: টিকা দিলেই মিলবে টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, করোনা রোধে অভিনব উদ্যোগ জেলা প্রশাসনের
টিকা দিলেই মিলবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। ছবি: গ্রাফিক্স
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2021 | 12:26 PM

চন্দ্রপুর: করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত রোধ করতে পারে একমাত্র ভ্যাকসিনই, অনেক দিন আগে থেকেই এই দাবি করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সম্প্রতি, ১০০ কোটি করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে দেশ। এত কিছুর পরেও করোনা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেরই অনীহা দেখা দিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এক অভিনব নিয়ম চালু করেছে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর পুরসভা। টিকা নেওয়ার পর একটি লাকি ড্র প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে পুরসভা। সেই লাকি ড্রতে অংশ নিয়ে টিকাগ্রাহকরা জিতে নিতে পারবেন টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনের মত আকর্ষণীয় পুরস্কার। এর পাশাপাশি ১০ জন টিকা গ্রহীতাকে মিক্সার গ্রাইন্ডার দিয়েও পুরস্কৃত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

চন্দ্রপুর পুরসভা সূত্রে খবর, নভেম্বর মাসের ১২ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে পুরসভা পরিচালিত টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে যাঁরা টিকা নেবেন তাঁদেরই পুরস্কার জেতার সুযোগ রয়েছে। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে পুরসভা। পুরসভার মেয়র সঞ্জয় কাঞ্চারলাওয়ার নেতৃত্বে হওয়া প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে এই অভিনব উদ্যোগ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই বৈঠকের পরেই পুরসভার কমিশনার রাজেশ মোহিতে সহ অন্য আধিকারিকরা জনগণের কাছে পুরসভার টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে দ্রুত টিকা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

চন্দ্রপুর শহরে এখনও অবধি ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৮১ জন নাগরিক করোনা টিকার প্রথম ডোজ় নিয়েছেন। ওই শহরের ৯৯ হাজার ৬২০ জন টিকার দুটি ডোজ় পেয়েছেন বলেই জানিয়েছে পুরসভা। কিন্তু তুলনামূলকভাবে শহরের মোট জনসংখ্যার তুলনায় টিকাকরণের হার যথেষ্ট কম। তাই টিকাকরণের হার বাড়াতে এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। মেয়র জানিয়েছেন পুরসভার তরফে মোট ২১ টি টিকাকরণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

বিবৃতিতে পুরসভা জানিয়েছে, হকার, জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী এবং দোকানদারদের যদি করোনা টিকার একটি ডোজ়ও না নেওয়া থাকলে তাদেরকে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। সরকার শহরের সব নাগরিকদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। কমিশনার রাজেশ মোহিতে জানিয়েছেন, বিক্রেতা এবং সবজি বিক্রেতা সহ প্রতিটি পরিষেবা প্রদানকারীর জন্য এবং যারা জনসাধারণের সাথে ঘন ঘন সংস্পর্শে আসেন তাদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। সবাইকে নিজের করোনা টিকা শংসাপত্র সঙ্গে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে সেটা দেখাতে হবে। বুধবার, চন্দ্রপুর জেলায় তিনটি নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর এই সংক্রমণের কারণে নতুন করে মৃত্যুর খবর নেই।

আরও পড়ুন Lt Col Quazi Sajjad: বুটের ভিতর গোপন তথ্য, পকেটে ২০ টাকা, ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন পদ্মশ্রী প্রাপক কাজি সাজ্জাদ