AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Civic Volunteer: আইন নিজের হাতে তুলে নিল আইনরক্ষক! বেধড়ক মারে মৃত্যু ব্যক্তির

Malda News: ঝামেলা মেটাতে আসে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার। সালিশি সভা বাসানো হয়।

Civic Volunteer: আইন নিজের হাতে তুলে নিল আইনরক্ষক! বেধড়ক মারে মৃত্যু ব্যক্তির
মৃতের পরিবার
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 7:52 PM
Share

মালদা: কথায় আছে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিৎ নয়। আর এখন আকছাড় পিটিয়ে মারার ঘটনা সামনে আসছে। গতকালও খবরে এসেছিল চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। আজ ফের লাঠির ঘায়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। তবে এবার আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন স্বয়ং আইন রক্ষক। পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের মারে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।

ঘটনাস্থান মালদা । মৃতের নাম বিজয় মণ্ডল। বয়স ৪৫। তিনি থাকতেন কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাগমারি এলাকায়। জানা যাচ্ছে, বিজয়ের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না। যার কারণে অশান্তি লেগেই থাকত বলা চলে। এরপর সেই ঝামেলা মেটাতে আসে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার। সালিশি সভা বাসানো হয়।

জানা গিয়েছে, বিজয় মণ্ডলকে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে তারা বেধড়ক মারধর করে। এখানেই শেষ নয়, পরিবারের অভিযোগ মোথাবাড়ি থানাতে গিয়েও তাঁকে মারধর করা হয়। এই মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি হয়। এরপর গতকাল তার মৃত্যু হয়।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সালিশি সভায় পুলিশ যাবে কেন? আদৌ পুলিশ কি এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে?

স্থানীয়রা জানিয়েছেন গ্রামের ছোটো ছোটো ঝামেলা-অশান্তিতে হামেশাই সালিশি সভা বসে। সেই সভা মিটমাট করাতে যায় সিভিক ভলেন্টিয়ার। অবশ্যই তা আইন বিরুদ্ধ। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, অনেক সময় এই সভা থেকে মোটা টাকাও নিয়ে থাকেন পুলিশরা।

এই বিষয়ে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ধরনের ঘটনা হওয়া উচিৎ নয়। যদি পুলিশের লোক জড়িয়ে থাকে খুব অন্যায় হয়েছে। পুলিশের লোক কেন সালিশি করবে?পুলিশ কাসডাটিতেও এইভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায় না।”

আজই হুগলিতে পিটিয়ে খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। সকালে খন্যান স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক যুবককে পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় জিআরপিকে। ব্যান্ডেলের জিআরপি তাকে উদ্ধার করে ইটাচুনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক বিদ্যুৎ দাস জানান যে বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। এদিকে ওই যুবকের বুকে ও তল পেটে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকায় চিকিৎসকরা অনুমান করেন তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে পোস্টমর্টেম হলে স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ।

এরপর জিআরপি মৃতদেহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রেখে চলে যায়। পরে জিআরপি সূত্রে খবর ওই যুবককে খন্যান স্টেশন বাজারে ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে মারধর করা হয়।

এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাচ্চু দাস জানান, “গতকাল সন্ধেয় ওই যুবককে মারধর করা হয়। তারপর তাঁকে দু নম্বর প্লাটফর্মে ফেলে দেওয়া হয়। স্টেশন বাজার থেকে প্লাটফর্মের দূরত্ব পঞ্চাশ মিটার। ইলেকট্রিক পোস্টের পাশ থেকে একজোরা চটি ও একটি লাঠি উদ্ধার হয়।” জিআরপির দাবি ওই চটি মৃত যুবকের। তার হাত গামছা ও দড়ি বাঁধা অবস্থায় একটি আম গাছের গোরায় পড়ে ছিল।

আরও পড়ুন: Mass beating:চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন বলে অনুমান! জিআরপি ও পান্ডুয়া থানার পুলিশের দড়ি টানাটানি!