Curd Benefits: চুল হবে মোলায়েম আর ত্বকে ফিরবে জেল্লা, যদি এভাবে কাজে লাগান টক দই
Skin-Hair Care: ত্বকের উপর টক দই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে, চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে টক দই। কিন্তু চুল ও ত্বকের যত্নে কীভাবে টক দই ব্যবহার করবেন, জানেন? রইল টিপস।

রোজের পাতে টক দই থাকলে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। প্রোবায়োটিকে ভরপুর টক দইকে টেক্কা দেওয়ার মতো কেউ নেই। তাছাড়া রান্নায় টক দই দিলেও তার স্বাদ বেড়ে যায়। কিন্তু জানেন কি, এই টক দই দিয়ে আপনি ত্বক ও চুলের খেয়ালও রাখতে পারেন? মুখ ও চুলে টক দই মাখলে পাবেন একাধিক উপকারিতা।
ত্বকের যত্নে টক দইয়ের গুণাগুণ-
ত্বকের উপর টক দই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, মুখে টক দই মাখলে আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। টক দইয়ের গুণে বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা, দাগছোপ আপনার ধারে কাছে ঘেঁষবে না। পাশাপাশি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে টক দই আপনাকে এনে দেবে মোলায়েম ত্বক। তাছাড়া সানবার্নের সমস্যাও কমিয়ে দেয় টক দই। তাই টক দই মেখে আপনি বাড়িয়ে ফেলতে পারেন ত্বকের জেল্লা।
ত্বকের উপর যেভাবে টক দই ব্যবহার করবেন-
টক দইয়ের সঙ্গে বেসন, এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটু ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ফেসপ্যাক শুকিয়ে গেলে সাধারণ জল দিয়ে হালকা হাতে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক আপনাকে যাবতীয় উপকারী এনে দেবে। সপ্তাহে ২-৩ বার আপনি এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্নে টক দইয়ের গুণাগুণ-
রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে সতেজতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে টক দই। টক দই চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। তাই টক দই চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া টক দই খেয়াল রাখে স্ক্যাল্পের। খুশকির সমস্যা কমিয়ে দেয় টক দই। টক দই স্ক্যাল্পের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
চুলের উপর যেভাবে টক দই ব্যবহার করবেন-
৩ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তৈরি হেয়ার মাস্ক। স্নানের আগে এই হেয়ার মাস্ক চুল ও স্ক্যাল্পে ভাল করে লাগিয়ে নিন। প্রায় ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। এই হেয়ার মাস্ক আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করে দেবে। সপ্তাহে ১-২ বার এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
