Bizarre Beauty Trend: পুরুষদের শরীর থেকে নির্গত এই পদার্থটি দিয়ে ফেশিয়াল করলে খুলবে আপনার ত্বকের জেল্লা, মত বিশেষজ্ঞদের
Facial Tips: ব্রিটেনের এক গবেষকের দীর্ঘবছরের উপাসনার ফসলের ফলে জানা গিয়েছে, সিমেন দিয়ে ফেশিয়াল করলে ত্বকের জেল্লা বাড়তে পারে। কেবল তাই নয়, ত্বকের বার্ধক্যেও নাকি রোধ করে সিমেন।
ইজ্যাকুলেশনের পর কারও মাথায় হয়তো আসবে না বিষয়টা। আসার কথাও নয়। আমজনতা হয়তো চিন্তাও করতে পারবেন না বিষয়টি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন অন্য কথা। বহু বছর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে এমনই একটি তথ্য, যে সিমেন (Semen) দিয়ে ফেশিয়াল করলে নাকি মহিলাদের ত্বকের জেল্লা বাড়ে। অবাক হচ্ছেন তাই তো? এই সত্যই কিন্তু বেরিয়ে এসেছে গবেষণায়। এক্কেবারে প্রমাণিত সত্য।
সিমেন কী?
যৌনতৃপ্তির পর পুরুষের শরীর (পড়ুন ইউরেথ্রা – পেনিসের টিউব) থেকে বেরিয়ে আসা সাদা অথবা ধূসর রঙের পদার্থ এটি। সিমেনেই থাকে লক্ষ্যাধিক স্পার্ম বা শুক্রাণু। যে শুক্রাণু সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে প্রধান উপাদান। সেই সিমেনই নাকি মহিলাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যতম উপাদানও।
ব্রিটেনের এক গবেষকের দীর্ঘবছরের উপাসনার ফসলের ফলে জানা গিয়েছে, সিমেন দিয়ে ফেশিয়াল করলে ত্বকের জেল্লা বাড়তে পারে। কেবল তাই নয়, ত্বকের বার্ধক্যেও নাকি রোধ করে সিমেন।
কীভাবে করতে ব্যবহার হয়?
ফেশিয়াল রুটিনের মধ্যে রাখতে পারেন সিমেনকেও। ৩০ মিনিট মুখে মেখে রাখলে মিলতে পারে ফল। এরজন্য মুখে সিমেন ঘষতে হবে ভাল করে। তারপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে, যাতে ত্বকের সঙ্গে সিমেন ভালভাবে মিশে যেতে পারে। এর পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন কিংবা মুখ মুছে ফেলুন ভেজা টিস্যু দিয়ে। আর দেখুন ফল।
কেন বাড়ে জেল্লা?
পুরুষের শরীর থেকে নির্গত সিমেনে রয়েছে মাল্টিভিটামিন ও প্রোটিন। এটি ত্বকের আর্দ্রতা দূর করে। ত্বকের লালচে ভাব দূর করে। কোনও ফুসকুড়ি জাতীয় কিছু হলে সারিয়ে দেয়। বলিরেখা দূর করতে এর বিকল্প নাকি নেই। তেমনটাই নাকি উঠে এসেছে ব্রিটেনের সেই গবেষণায়।
কিন্তু বিপদও আছে। কী কী?
- এসটিডি কিংবা এসটিআই (STD/STI) থাকলে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। যৌনরোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- সিমেন থেকে এলার্জি হতে পারে। হিতে বিপরীত হতে পারে। মুখে গোটা বেরতে পারে। ত্বক চুলকোতেও পারে।
- সিমেনে থাকে পুরষের টেস্টোস্টেরন হরমোন। যাঁদের ত্বক সেন্সিটিভ, এর ফলে অ্যাকনে কিংবা ব্রণ জাতীয় সমস্যা হতে পারে।
- যাঁর সিমেন, সেই পুরুষ যদি ড্রাগের নেশা করেন, খুব ধূমপান করেন কিংবা মদ্যপান করেন, তাঁর সিমেন ব্যবহার না করাই মঙ্গল।
- দেখতে হবে ডোনারের যৌনজীবন যেন স্বাভাবিক থাকে।
- দেখবেন, যিনি সিমেন দিচ্ছে, তিনি পরিমিত জল পান করেন কি না। তাঁর যথেষ্ট শারীরিক কসরত করার অভ্যাস আছে কি না। না হলে সেই ব্যক্তির সিমেন নিজের ত্বকে প্রয়োগ না করাই ভাল।