Acne: ৩০-এ পা দিয়েও পিছু ছাড়েনি ব্রণর সমস্যা? এর পিছনে আপনার চুল দায়ী নয় তো?

Hair Care Product: অনেক সময় ত্বকের প্রকার ব্রণর সমস্যার জন্য দায়ী হয় না। এমন অনেক ব্যক্তিই রয়েছেন যাঁরা সারাবছর এই ব্রণর সমস্যায় ভোগেন।

Acne: ৩০-এ পা দিয়েও পিছু ছাড়েনি ব্রণর সমস্যা? এর পিছনে আপনার চুল দায়ী নয় তো?
অনেক সময় ত্বকের প্রকার ব্রণর সমস্যার জন্য দায়ী হয় না...Image Credit source: istockphoto.com
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2022 | 1:00 PM

মানুষের মধ্যে প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণর (Acne) সমস্যা বেশি হয়। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালের পরও মুখে, পিঠে ব্রণর সমস্যা হয়। আবার অনেকে মনে করেন যে তৈলাক্ত ত্বকেই শুধু ব্রণ হয়। এই ধারণাও অনেকাংশে ভুল। তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত সিরাম নিষ্কাশনের জন্য এই ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু অনেক সময় ত্বকের প্রকার (Skin Care) ব্রণর সমস্যার জন্য দায়ী হয় না। এমন অনেক ব্যক্তিই রয়েছেন যাঁরা সারাবছর এই ব্রণর সমস্যায় ভোগেন। গরমে এই সমস্যা আরও বাড়তে শুরু করে। বাজারের নামী-দামি পোশাকেও তখন কাজ দেয় না। কিন্তু আপনার এই ব্রণ হওয়ার পিছনে আসলে কোন কারণ দায়ী তা কি ভেবে দেখেছেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময় চুলের জন্যও আপনার মুখে ও পিঠে ব্রণর (Bacne) সমস্যা হতে পারে।

এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। খুশকি ব্রণ হওয়ার একটি সাধারণ কারণ। স্ক্যাল্পে খুশকির সমস্যা থাকলে এর কারণে কপালে ব্রণ হতে পারে। এর পাশাপাশি অনেক সময়েই মুখের ওপর চুল পড়ে, চুল খোলা রাখলে সারাক্ষণ পিঠেও চুল পড়ে। এতে তেল, ময়লা, খুশকি ত্বকে লেগে ব্রেকআউট হয়। তাই ব্রণ হলেই যে এর পিছনে শুধু ত্বকের কোনও সমস্যা দায়ী এমনটা নাও হতে পারে।

অনেক সময় সঠিক চুলের পণ্য ব্যবহার না করার জন্যও এই ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। যাঁদের অ্যাকনি প্রণ স্কিন, তাঁদের চুলের পণ্য কেনার আগে তাতে থাকা উপাদানগুলি সম্পর্কে অবগত থাকা দরকার। পেট্রোলিয়াম, সিলিকন, কোকোয়া বাটার, সোডিয়াম সালফেট, অ্যামোনিয়াম সালফেট, মিনারেল অয়েল, জোজোবা তেল, নারকেল তেল এবং লানোলিনের মত উপাদানগুলির চুলের পণ্যে থাকে। আর এই সব উপাদানগুলি ব্রেকআউটের কারণ হতে পারে।

অনেক হেয়ার স্প্রেতে অ্যালকোহল থাকে। এই স্প্রে যদি ত্বকে লাগে কিংবা চুলে প্রয়োগের পর তা যদি ত্বকের সংস্পর্শে আসে তাহলে ব্রণ হতে পারে। এই সব চুলের পণ্যের জন্য ত্বকে র‍্যাশও বের হয়। বেশির ভাগ চুলের পণ্যে তেল থাকে। এই তেল যখন ত্বকের সংস্পর্শে আসে, এতে ত্বকের রন্ধ্রগুলি খুলে যায়। এখান থেকে ব্রণর সূত্রপাত ঘটে। যখন এই চুলের পণ্যগুলির জন্য ব্রেকআউট হয় তখন নামী-দামি স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড ব্যবহার করেও ব্রণর সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর অনেকেই ফেসওয়াশ করেন না। এতেও ব্রেকআউট হতে পারে। এই কারণে পিঠে ও ঘাড়ে বেশি ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। তাই সব সময় কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরে ফেসওয়াশ ও বডিওয়াশ ব্যবহার করুন।

যদি আপনার ব্রণর জন্য চুলের পণ্য দায়ী হয়, তাহলে এই বিষয়ে সতর্ক হন। প্রথমত আপনি যদি ত্বকের এই ধরনের সমস্যার কারণ না জানেন তাহলে কোনও ভাবেই এর থেকে সমাধান খুঁজে পাবেন না। আপনার ব্রণ হওয়ার পিছনে যদি চুলের পণ্য দায়ী হয়, তাহলে এখনই বন্ধ করে দিন ওই পণ্য ব্যবহার করা। এতে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আপনার ব্রণর সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: টোনার থেকে ফেসপ্যাক, গরমে যে ভাবে ব্যবহার করবেন অ্যালোভেরা জেল