Pregnancy-Safe Skin Care: গর্ভাবস্থায় স্ট্রেচ মার্ক্স, ফুসকুড়ি, দাগছোপের সমস্যা, সমাধানের কোনও আছে কি?
Skin Care Tips: 'প্রেগন্যান্সি গ্লো' শুনতে যতটা ভাল লাগে, তার চেয়ে বেশি কষ্টকর হয় ত্বকের অন্যান্য সমস্যাগুলোর সঙ্গে লড়াই করা।
গর্ভাবস্থা মহিলাদের কাছে এক সুন্দর সময়। কিন্তু এই সুন্দরের মাঝেও এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা খুব চ্যালেঞ্জের। যেমন হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তনের পাশাপাশি ত্বকেরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। ‘প্রেগন্যান্সি গ্লো’ শুনতে যতটা ভাল লাগে, তার চেয়ে বেশি কষ্টকর হয় ত্বকের অন্যান্য সমস্যাগুলোর সঙ্গে লড়াই করা। স্ট্রেচ মার্ক, ফুসকুড়ি, মেলোনিনের আধিক্য ইত্যাদি। এই সব সমস্যাকে প্রথম থেকে প্রতিরোধ করা যায় না। গর্ভাবস্থা ত্বকের সমস্যার পিছনে হরমোনের তারতম্য এবং বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দায়ী থাকে। ধীরে ধীরে এই সব সমস্যাগুলো কমে যায়। তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আপনি ত্বকের এই সব সমস্যাগুলোকে ঘরোয়া উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
স্ট্রেচ মার্ক্সের সমস্যা প্রথম থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এর জন্য ঘরোয়া উপায়ের সাহায্য নিতে পারেন। স্ট্রেচ মার্ক্স দূর করার জন্য সপ্তাহে দু’বার করে স্ক্রাব করুন। চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে স্ট্রেচ মার্ক্সের উপর স্ক্রাব করুন। তাহলেই কাজ হবে। এরপর ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা জরুরি। এর জন্য প্রতিদিন স্ট্রেচ মার্ক্সের উপর অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং কোমল করে তোলে। এছাড়াও আপনি স্ট্রেচ মার্ক্সের উপর নারকেল তেল লাগাতে পারেন। স্ট্রেচ মার্ক্স দূর করার ক্ষেত্রে নারকেল তেল ভীষণ উপকারী।
গর্ভাবস্থায় ত্বকে মেলোনিনের আধিক্য বেড়ে যায়। এর জেরে ত্বকের বিভিন্ন অংশে কালো ছোপ দেখা দেয়। এই সমস্যাকে আপনি কোনওভাবেই প্রতিরোধ করতে পারবেন না। তার চেয়ে আপনি ত্বকের যত্ন নিন। একটি সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলুন। সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুন। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
গর্ভাবস্থায় ডায়েটের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। ডায়েটই একমাত্র উপায় ত্বককে ভাল রাখার। ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য আপনাকে এই অবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতেই হবে। এই খাবারই কিন্তু আপনার ত্বককে ভাল রাখতে সাহায্য করবে। আর ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় এমন প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন যা আপনার এবং আপনার শিশুর ক্ষতি করতে পারে। রেটিনল-ভিত্তিক পণ্য ব্যবহার করবেন না। মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দু’বারের বেশি ত্বক এক্সফোলিয়েট করবেন না। সানস্ক্রিন ও ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই ব্যবহার করবেন। গর্ভাবস্থায় ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আপনি টি ট্রি অয়েল কিংবা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।