স্কিনের ডার্মিস লেয়ার যখন প্রসারিত হয়ে যায় তখন ধীরে ধীরে ব্লাড ভেসেল প্রকাশ পেতে শুরু করে। তাই তো প্রথম দিকে স্ট্রেচ মার্কে এর রং লাল বা বেগুনী রঙের হয়ে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে ব্লাড ভেসেল যখন ছোট হতে শুরু করে, তখন রং বদলে যায় এবং মোটা দাগ প্রকাশ পায়। আর তখনই দেখতে বেশ খারাপ লাগে। চটজলদি স্ট্রেচ মার্ক মিলিয়ে যাক এমনটা যদি চান, তাহলে যে যে ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে কাজে লাগাতে হবে, সেগুলি দেখে নিন…
আলুর রস:
এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় উপকারী স্টার্চ এবং এনজাইম, যা ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে প্রায় সব ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্কিন টোনের উন্নতিও ঘটে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো আলুর রস নিয়ে শরীরের যেখানে যেখানে দাগ রয়েছে সেখানে নিয়মিত লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে। ততক্ষণ মালিশ করতে হবে, যতক্ষণ না আলুর রসটা একেবারে শুকিয়ে যায়। এমনটা করলেই দেখবেন উপকার মিলছে।
কফি:
পরিমাণ মতো কফি গুঁড়ো নিয়ে তাতে জল মিশিয়ে একটা থকথকে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্ট, স্ট্রেচ মার্ক এর উপর লাগিয়ে ধীরে ধীরে ঘোষতে হবে। কম করে ৩ মিনিট মাসাজ করার পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে পেস্ট। এইভাবে নিয়মিত যদি এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারো, তাহলে স্ট্রেচ মার্ক মিলিয়ে যেতে একেবারেই বেশি সময় লাগবে না। আসলে কফিতে রয়েছে ক্যাফিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়, যে কারণে দাগ মিলিয়ে যায় নিমেষে।
অ্যালোভেরা জেল:
স্ট্রেচ মার্ক দূর করার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তাতে ৫ টি ভিটামিন-এ ক্যাপসুল তেল এবং ১০ টি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই পেস্টটি স্ট্রেচ মার্কের উপরে লাগিয়ে ততক্ষণ মাসাজ করতে হবে, যতক্ষণ না মিশ্রণটি একেবারে শুকিয়ে যায়। নিয়মিত এইভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে ত্বকের ভিতরে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়, যে কারণে এমন দাগ মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না।
আরও পড়ুন: Post-Covid Hair Fall: করোনা হওয়ার পর অঝোরে চুল ঝরছে! চুল পড়া রোধ করার সহজ ও ঘরোয়া টিপস দেওয়া রইল…
আরও পড়ুন: Coconut Oil: শীতে আপনার ত্বকের কোমলতা বজায় রাখবে এই একটি মাত্র উপাদান! দেখে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন