Sunscreen: সানস্ক্রিনের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি…কিন্তু সানস্ক্রিন মাখার ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে!
সূর্যের কারণে তৈরি হওয়া অনিয়মিত ট্যান আমাদের ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। এই প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক সময়ই খুব কঠিন হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত এক্সপোজার আবার ক্যানস্যারের দিকেও ঠেলে দিতে পারে।
Follow Us
সূর্যের সামান্য এক্সপোজার ত্বকের খুব ক্ষতি করে না। কিন্তু ক্রমাগত এক্সপোজার ত্বকের বিভিন্ন রূপে ক্ষতি করতে পারে। আর তখন তার প্রভাব দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকে। এমনকি একটা সময়ের পর নিরাময়েও সময় নেয়।
বয়সের দাগ, অকাল কুঁচকানো, প্যাচ বা অনিয়মিত ত্বক এবং ত্বকের অসম গঠন ত্বকের উপর সূর্যের এক্সপোজারের কারণেই মূলত হয়ে থাকে। এই ব্যাপারে ইনস্টাগ্রামে একজন বিখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ মাধুরী ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি সানস্ক্রিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং কখন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত না সেই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তাঁর মতে, সূর্যের কারণে তৈরি হওয়া অনিয়মিত ট্যান আমাদের ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। এই প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক সময়ই খুব কঠিন হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত এক্সপোজার আবার ক্যানস্যারের দিকেও ঠেলে দিতে পারে। এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু বিশেষ পদ্ধতি আছে।
কী কী করা উচিত:
বছরে ৩৬৫ দিন সানস্ক্রিনের প্রয়োজন হয়। এমনকি বৃষ্টির দিনেও, UVA রশ্মি বৃষ্টির মেঘের মধ্য দিয়ে যেতে পারে এবং বার্ধক্য আর হাইপারপিগমেন্টেশনের কারণ হতে পারে।
ত্বকের সমস্ত খোলা জায়গায় যেমন মুখ, ঘাড়, কান, হাত এবং পায়ে সানস্ক্রিন লাগান। এমনকি গাড়িতে বসার সময় সূর্য সরাসরি জানালা এবং গাড়ির উইন্ডশিল্ড দিয়ে যদি আসে তাও ত্বকের ক্ষতি করে। অতএব, আপনি যেখানেই যান না কেন সানস্ক্রিন লাগানো গুরুত্বপূর্ণ।
প্রচুর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সঠিক পরিমান সানক্রিন খুব তাড়াতাড়ি চামড়া টেনে নেয়। আর অস্বস্তিও হয় না।
কী কী করা উচিত না:
অনেক সানস্ক্রিনে শুধুমাত্র একটি UVB ফিল্টার থাকে, কিন্তু আপনাকে UVB এবং UVA রশ্মি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। একটি সানস্ক্রিনের অবশ্যই UVA থাকতে হবে কারণ এটি ত্বকের সর্বাধিক ক্ষতি করে।
মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া সানস্ক্রিনের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। ১২ মাস পরে যেকোনও সানস্ক্রিনের প্রভাবটি নষ্ট হয়ে যায়।
দেড় ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টার বেশি রোদে থাকবেন না। প্রথমবারের মতো ট্যানার ইউজাররা ২০ মিনিটের জন্য ট্যান করতে পারে। প্রতিবার পাঁচ থেকে দশ মিনিট করে সেই সময় বাড়াতে পারে।
এসপিএফের খেয়াল রাখা জরুরি। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনার জন্য কোন সানস্ক্রিন সুরক্ষিত, সেটা বেছে নিন।