ব্লিচ করার অনেক রকমের কারণ হয়। কেউ ফেশিয়াল হেয়ার লুকানোর জন্য ব্লিচ করেন, কেউ বা মুখের দাগ সারিয়ে তুলতে ব্লিচ করেন। প্রত্যেকেরই ব্লিচিংয়ের পিছনে নিজস্ব কারণ রয়েছে। তবে আপনিও যদি ব্লিচ করার প্ল্যান করে থাকেন, তবে আপনাকে কয়েকটি বিষয় অবশ্য়ই মাথায় রাখতে হবে। আপনি মুখে ব্লিচ করার আগে কী কী করবেন আর কী কী করবেন না। আপনার মুখে ব্লিচ করার আগে একবার কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিয়ে নিতে পারেন।
ব্লিচ করার সময় কী কী করবেন:
চুল বেঁধে নিন। আপনার চুল বড় হলে ভাল করে টেনে বাঁধুন। কপালের উপর যেন চুল পড়ে না থাকে। যদি আপনার চুল বাঁধা না যায়, তবে একটি হেড ব্যান্ড দিয়ে চুল আটকে রাখুন। কোনওভাবেই যেন চুল মুখে না পড়ে।
ময়লা এবং তেল থেকে মুক্তি পেতে ব্লিচ করার আগেই মুখ ভাল করে ধুয়ে নেবেন। না হলে মুখে তেল থেকে গেলে আপনার মুখ ঠিকভাবে ব্লিচ হবে না।
ইনস্ট্রাকশন ভাল করে পড়ে নিন। সঠিক পরিমাণ ব্লিচ পাউডার এবং অ্যাক্টিভেটর নিন। কম বা বেশি পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার কিন্তু আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। সেই বিষয়টি মাথায় রাখুন।
মুখে ব্লিচ লাগানোর আগে অবশ্যই একটি প্যাচ টেস্ট করবেন। সবার ত্বকে সব রকম ব্লিচ সুট করে না। তখন ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষত আপনার ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়। তাই হাতের একটি জায়গায় প্রথমে লাগিয়ে নিন। যদি সমস্যা না হয়, তবে মুখেও লাগান।
ব্লিচ করার সময় কী কী করবেন না:
কোনও ধাতব পাত্রে ব্লিচ মেশাবেন না। ধাতুর সঙ্গে মিশে কোনও রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যা আপনার ত্বকেও প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যদি কাচের বাটিতে আপনি ব্লিচ মেশান, তাই সবথেকে ভাল হয়।
মুখের স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে ব্লিচ লাগাবেন না। বিশেষত চোখ, ঠোঁট এবং নাকের পাশে ব্লিচ লাগাবেন না। বিভিন্ন স্কিন ব়্যাশ হতে পারে।
ব্লিচ করার পরেই কখনও রোদে বেরিয়ে যাবেন না। ব্লিচ করার পরে ত্বক সেনসিটিভ হয়ে যায়। এই সময় ত্বকে রোদ লাগালে ত্বকের আরও ক্ষতি হতে পারে।
ব্রণ বা মুখের কোনও ক্ষতের উপর ব্লিচ লাগাবেন না। এই সব জায়াগাগুলি বাদ দিয়ে মুখে ব্লিচ লাগান।