মুডটাই আসল! প্রাণবন্ত ত্বকের হদিশ পেতে আগে জানুন আপনার মুড কেমন আছে?

মুড যদি ভাল না হয়, নেগেটিভ আবহ চারিদিকে বজায় থাকে তাহলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এমনকি মুখের ত্বকের মধ্যে অকাল-বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যায়।

মুডটাই আসল! প্রাণবন্ত ত্বকের হদিশ পেতে আগে জানুন আপনার মুড কেমন আছে?
মুডের উপর নির্ভর করে আপনার ত্বক আদতে কেমন থাকবে!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2021 | 9:58 AM

কথায় আছে, হাসিই হল মানুষের সেরা ওষুধ । আর বর্তমান সময়ে এই জরুরি কথা আমরা কতটা অনুসরণ করি!সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রতিদিন যদি আমরা হাসিখুশি জীবন কাটাই তাহলে শরীর-মন যেমন সুস্থ থাকে, তেমনি ত্বকও প্রাণবন্ত থাকে। আমাদের চারিপাশে নেগেটিভিটি বেশি থাকলে শরীরের উপর যেমন প্রভাব পড়ে তেমনি ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ কয়েক ঘণ্টার মুডের উপর নির্ভর করে আপনার ত্বক কেমন থাকবে।

স্ট্রেস

যত বেশি মানসিক চাপকে এড়িয়ে যাবেন ততই আপনার শরীর ও ত্বকের জন্য ভাল। কারণ আপনার মনের অবস্থার প্রভাব পড়ে ত্বকের উপরেই। মানসিক চাপের জেরে ত্বকের বলিরেখা পড়তে দেখাযায়। স্ট্রেসের মূল কারণ হল কর্টিসোল হরমোনের নিঃসরণ। যার ফলে বিভিন্ন অঙ্গ, রক্ত সরবরাহের মতো জরুরি কাজগুলিতে ব্যাঘাত ঘটে। নতুন স্কিন সেলও তৈরি হতে পারে না এর জন্য। আবার স্ট্রেসের জন্য চকোলেট বার, নোনতা চিপস এইসব খাবার খাওয়ার প্রতি প্রবণতা বাড়ে। জল খাওয়া কম হয়। ফলে ডিহাইড্রেশনের ঝুকিও বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে ত্বকে রিঙ্কেলস তৈরি হয়, নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

রেগে গেলে

পরবর্তী সময়ে মায়ের উপর বা প্রিয়বন্ধুর উপর মাথা গরম করে রেগে গেলে মনে করবেন আপনি নিজের ত্বকের উপর কতটা অত্যাচার চালাচ্ছেন। রেগে যাওয়ার কারণে মুখের পেশিগুলির শক্তি ক্ষয় হ. ও রিঙ্কেলস দেখা দিতে শুরু করে। সমীক্ষা জানা গিয়েছে,মানুষ রেগে গিয়ে চিত্কার করলে স্বাভাবিক অবস্থার থেকে চারগুণ মাত্রায় ত্বকের ক্ষতি হয়।

ডিপ্রেশন

মানসিক অবসাদও ত্বকের ক্ষতি করার জন্য অন্যতম কারণ। ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন বেশ গুরুক্বপূর্ণ। দুঃখী, মন খারাপ বা অবসাদে ভুগলে সেই প্রভাব পড়ে ত্বকের উপরও। অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট বোটোক্স ইনজেকশনের কারণ কপালের ত্বক ফুলে ওঠে। দীর্ঘস্থায়ী অবসাদে ভুগলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। হরমোনের জেরে ক্লান্তিভাব এলে চোখের নীচে ফোলাভাব, নিস্তেজ ত্বক, মুখে ফোলাভাব দেখা যায়।

আতঙ্ক

বিপদ বা আতঙ্কিত হলে ব্রেনের মধ্যে সংকেত বার্তা চলে যায়, আতঙ্ক বা উদ্বেগের মধ্যে থাকলে দ্রুত অ্যাড্রেনাল গ্ল্যান্ড থেকে ইপিনেফ্রিন নির্গত হতে থাকে, যা অ্যাড্রিনালিন বলা হয়। ফলস্বরূপ হার্টরেট বৃদ্ধি হওয়া, শরীরের সব শক্তি দ্রুত ক্ষয় হতে থাকে। অ্যাড্রিনালিন নির্গত হওয়ার কারণে স্কিন ও মুখের ত্বকের উপর তার প্রভাব পড়ে। নিস্তেজ ও রুক্ষ ত্বকের জন্য় এই কারণ অন্যতম।

আরও পড়ুন: ত্বকের সব সমস্যা মেটাতে সকালে কী করেন তামান্না ভাটিয়া! ফাঁস হল গোপন রহস্য!