AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Madan Mitra Fashion: চোখে হলুদ চশমা আর গায়ে হলুদ পাঞ্জাবিতে ‘সোয়্যাগ’ মিস্টার মিটারের

Madan Mitra Swag: পাঞ্জাবি থেকে জুতো, সানগ্লাস থেকে চশমা মদনবাবুর একটাই কথা 'I don't repeat'...

Madan Mitra Fashion: চোখে হলুদ চশমা আর গায়ে হলুদ পাঞ্জাবিতে 'সোয়্যাগ' মিস্টার মিটারের
প্রিয়তমাদের থেকেই সানগ্লাস উপহার পান মিত্র
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2022 | 2:56 PM
Share

ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি ‘সানগ্লাস’ রিলিজ় করেনি সিনেমাহলে। কিন্তু ইনি সানগ্লাস ‘রিলিজ়’ করেন একপ্রকার রোজ। সহজ কথায়, ইনি সানগ্লাস বদলান কার্যত রোজ। এক ঝটকায় দেখে মনে হতে পারে, এই সানগ্লাস তো তিনি কালও পরেছেন। নাহ্, ভুলটা এখানেই। প্রশ্ন করায় জানা গেল, তাঁর কালেকশনে অন্তত ৭০০-৮০০ খানা সানগ্লাস রয়েছে। কিন্তু কোনওটিই তাঁর কেনা নয়। সবই কোনও না কোনও ‘ভালবাসার মানুষ’-এর থেকে উপহার পাওয়া। বলাই বাহুল্য, সেই তালিকায় প্রাধান্য মহিলাদেরই। তবে এই সিক্রেট সানগ্লাসের আরও একটি ‘রহস্য’ রয়েছে। মৃদু হেসে রহস্য উন্মোচন করলেন খোদ তিনিই, “প্রিয়তমাদের কাছ থেকে শুধু একটাই অনুরোধ আসে: উপহার হিসেবে দেওয়া এই সানগ্লাস পরে কোনও একটা ফেসবুক লাইভ-এ আসতে হবে। যাঁর দেখার তিনি ঠিক দেখে নেবেন।” এরপর এহেন ‘কালারফুল’ মদন মিত্রর ছোট্ট সংযোজন, “পরে অবশ্য ওঁরা আমাকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেন না।”

আষাঢ়ের ভরা দুপুরে সবাই যখন দরদরিয়ে ঘামছে, তখনও এই মানুষটির গ্ল্যামার কিন্তু চুঁইয়ে পড়ছে। জীবনের ৫০ তম বসন্ত বহুদিন আগেই পেরিয়ে এসেছেন। তবুও তাঁর রূপ আর জৌলুস দেখে বুঝবে কে? সারাক্ষণ টগবগিয়ে ফুটছেন। সিগনেচার সানগ্লাসে টইটই করছেন শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। কখনও বাইকে, কখনও গাড়িতে। তিনি মদন মিত্র, নেটিজ়েনদের একাংশের কথায় ‘গ্ল্যামার কিং’। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর ফিটনেস, গ্ল্যামার আর ফ্যাশান নিয়ে নেটদুনিয়ায় উৎসাহর অন্ত নেই। ফিটনেস থেকে পোশাক সবেতেই তিনি ভীষণ রকম সচেতন। রথের প্রাক্কালে, বৃহস্পতিবার দুপুরে TV9 বাংলার ডিজিটাল ডেস্কে হঠাৎ আগমন মদন মিত্রের। হলুদ রঙের সিল্কের পাঞ্জাবি, ঘিয়ে চোস্ত চুড়ি-পা আর চোখে হলুদ চশমায় দেখা দিলেন তিনি।

madan

TV9-এর দফতরে মদন মিত্র

‘মিস্টার মিটার’ জানালেন, তাঁর কালেকশনে থাকা সানগ্লাস কখনও ‘রিপিট’ করেন না তিনি। ফেসবুক লাইভ থেকে শুরু করে কোনও লাইভ ইভেন্ট অথবা অন্য কোনও অ-রাজনৈতিক কর্মসূচি—ভিন্ন-ভিন্ন রঙিন সানগ্নাস পরে নিত্যনতুন অবতারে হাজির হওয়াকে ‘ট্রেন্ড’-এ পরিণত করেছেন মিত্রসাহেব। আর ৮ থেকে ৮০ তাতেই কুপোকাত। বিশেষত ঘায়েল হন তাঁর মহিলা ফ্যান-ফলোয়ারেরা। যে বয়সে বাঙালি ‘বুড়ো’ হতে শুরু করে, সেই বয়সে এসে রঙিন সানগ্লাস আর পাঞ্জাবিতে কীভাবে ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ তৈরি করতে হয়, মদন মিত্র যেন তার পাঠ দিতে পারেন।

শুধু কী সানগ্লাস? নাকি তাঁর কালেকশনে আরও কিছু আছে, যা ‘রিপিট’ করেন না ‘মিস্টার মিটার’? স্টকে রয়েছে দারুণ সব পাঞ্জাবিও। তবে সেগুলো মূলত একরঙা। যেহেতু উপলক্ষ্য রথ, তা-ই জগন্নাথের পছন্দের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে হলুদ রঙের পাঞ্জাবিই পরেছিলেন জননেতা। কথায়-কথায় মিত্রসাহেব জানালেন, বাংলাদেশের বিখ্যাত দোকান ‘প্রেম কালেকশন’ থেকে তিনি এই পাঞ্জাবিটি কিনেছেন। পাঞ্জাবি প্রসঙ্গে মদন বললেন, “আমাকে বলল, যা-যা পছন্দ নিয়ে নাও। বললেই কি আর এরকম করা যায়? যাই-ই হোক, শেষমেশ সাদা আর এই হলুদ রঙের দু’টো পাঞ্জাবি কিনলাম।” তখনই জানালেন, কালেকশনে যতই সানগ্লাস আর পাঞ্জাবি থাক না কেন, তিনি কোনওটাই ‘রিপিট’ করেন না। অর্থাৎ একটা সাদা পাঞ্জাবি একবারই পরেন—দ্বিতীয়বার নয়। অনেকে হয়তো তাঁকে দেখে ভাবতে পারেন যে, একই সাদা পাঞ্জাবি হয়তো আবার পরেছেন। তবে এমনটা কখনওই হয় না—’সোয়্যাগ’-এর সঙ্গে জানালেন মদন।

এই যে অগুণতি সানগ্লাস আর পাঞ্জাবি রয়েছে তাঁর কালেকশনে, অথচ তিনি নিজে দ্বিতীয়বার সেসব ছুঁয়েও দেখে না, কী গতি হয় এদের পরিণতি? উত্তরে মদন বললেন, “সবই আমার পার্টির ছেলেরা মহানন্দে পরে। বেশিরভাগ সময় গাড়িতেই রাখা থাকে এগুলো। আমার চ্যালা-চামুণ্ডা, যার যখন ইচ্ছে, গাড়ি থেকে নিয়ে নেয়। না বলেই নিয়ে চলে যায়।” হলুদ পাঞ্জাবি আর ঘিয়ে চোস্ত চুড়ি-পায়ের সঙ্গে ম্যাচিং সাদা রঙের ‘ক্রকস’-এর চপ্পল পরেছিলেন তিনি। অন্য সময় স্নিকার্সই পরেন। তবে বর্ষার দিনে বেছে নেন ‘ক্রকস’-এর জুতো। ভালবাসা তাঁর রক্তে। তাই হয়তো মানুষও তাঁকে এতো ভালবাসেন। ভালবাসার জেরেই যে তাঁর গ্ল্যামার বাড়ছে, একথাও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে একাধিকবার।