এত দাম দিয়ে শখ করে যে শাড়িটা কিনছেন সেটা যদি নকল (fake saree) হয়, তা হলে তো খুব মুশকিল। হ্যাঁ, আজকের প্রতিবেদনে নকল শাড়ির কথা নিয়েই আলোচনা হবে। আপনি ধরতেও পারবেন এত সূক্ষ্মভাবে আসল শাড়ির ডিজাইন আর রং কপি করা হয়। আপনি এদিকে নিজের পিঠ চাপড়ে নিজেকেই বাহবা দিয়ে ভাবলেন যে নানা রকমের শাড়ি আপনি দেখলেই চিনে নিতে পারেন। তবে আসল সত্যিটা বোধ হয় অন্য। তাই আপনি যাতে ভবিষ্যতে আর না ঠকেন, তার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি এমন কিছু সহজ টিপস, যেগুলো মেনে চললে আপনি চট করে আসল নকলের তফাত করতে পারবেন।
১) যে-কোনও হ্যান্ডলুম শাড়ি কেনার সময় দেখে নেবেন তাঁদের কাছে সরকারের স্বীকৃতি আছে কিনা। অর্থাৎ তাঁরা ক্রাফট মার্ক বা সিল্ক মার্ক সহ শাড়ি বিক্রি করছেন কিনা। কোনও ছোট ব্যবসায়ী বা ব্যক্তিগতভাবে কারও কাছ থেকে কিনলেও সেটা করবেন।
২) লখনউ চিকন কেনার সময় আমরা সবাই এটাই প্রত্যাশা রাখি যে এই বিশেষ সেলাই হাতে করা হবে। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন যে সেলাই হাতে করা হয়েছে নাকি মেশিনে? তাহলে জেনে রাখুন যদি সেলাই হাতে করা হয় তাহলে সেখানে ফ্রেঞ্চ নট, শ্যাডো স্টিচ ও ক্রিসক্রস এমব্রয়ডারি দেখা যাবে। মেশিনে এই সব স্টিচ করা যায় না।
৩) অসম শাড়ি চিনে নেওয়ার আরও একটা উপায় বলে দিচ্ছি। হাতে বোনা অসম শাড়ির বর্ডার আলাদা করে বোনা হয় এবং পরে শাড়ির সঙ্গে সেলাই করে দেওয়া হয়।
৪) ব্লক প্রিন্টেড শাড়ি কেনার সময় দেখবেন এখানে সেখানে রঙের ছিটে আছে কিনা। যদি থাকে এবং সব ক’টা প্রিন্ট যদি এক রকম না হয় তবেই সেটা প্রকৃত অর্থে হ্যান্ড ব্লক প্রিন্টেড। মেশিনে প্রিন্ট করলে কোথাও রং লাগবে না এবং একই রকম দেখতে হবে।
৫) আসল আর নকল বেনারসি দেখতে গেলেও আপনাকে শাড়ি উল্টে দেখতে হবে। আসল বেনারসির পিছন দিকেও ঘন সুতো দেখা যায় যেটা নকল বেনারসিতে থাকে না।
৬) বেনারসি চেনার আরও একটি উপায় হল যে আসল বেনারসিতে সব সময় আঁচলের দিকে ছয় থেকে আট ইঞ্চি লম্বা প্লেন সিল্কের প্যাচ থাকে। এটা নকল বেনারসিতে থাকে না।
আরও পড়ুন: Wedding Dresses 2021: ফ্যাশনেবল পোশাকেও চমক প্লাস-সাইজ কনের! নজর কাড়তে কেমন পোশাক বাছবেন, জানুন