Apple Diet Plan: মাত্র ৫ দিনে কমবে ২ কেজির বেশি ওজন, মেনে চলুন এই ম্যাজিক ডায়েট…
Miracle weight loss: ওজন কমাতে অনেকেই নিয়মিত ভাবে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খান। কিন্তু জানেন কি, নিয়ম মেনে এই ভাবে একটা করে আপেল খেতে পারলে শরীর সুস্থ থাকবে আর যাবতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন
ওজন কমে যাচ্ছে, এমন সমস্যার কথা খুব একটাও শোনান যায় না যতটা না এই ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে হইচই হয়। আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই সাধারণ সমস্যা এই ওবেসিটি বা অত্যধিক হারে ওজন বৃদ্ধি। একটানা বসে কাজ, সেখানে পরিশ্রমের কোনও সুযোগই নেই। আর খিদে পেলে সব সময় যে বানিয়ে খাওয়ার সুযোগ হয় তাও নয়। ফলে ভরসা রাস্তার ফাস্টফুডেই। বাড়ির তৈরি ভাত, ডাল, মাছ, তরকারির স্বাদ বাইরের কোনও হোটেলে পাওয়া যায় না। এছাড়াও দোকানের খাবার মানেই বেশি পরিমাণে মশলা দিয়ে কষিয়ে রান্না করা। এই খাবার একটানা খেলে পেট আর লিভারের বারোটা বাজতে বিশেষ সময় লাগবে না। আর রইল পড়ে বার্গার, প্যাটিস, পিৎজা। নিয়মিত ভাবে এই সব খাবারে জিভ অভ্যস্ত হলে কিন্তু ওজন বাড়বেই। লোভ নিয়ন্ত্রণে রাখার একটাই উপায় হল বেশি পরিমাণে ফল খাওয়া, শাক-সবজি খাওয়া। এর মাধ্যমে শরীর যেমন পুষ্টি পায় তেমনই একাধিক সমস্যা থাকে চৌহদ্দির বাইরে। ওজন কমাতে অনেকেই নিয়মিত ভাবে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খান। কিন্তু জানেন কি, নিয়ম মেনে এই ভাবে একটা করে আপেল খেতে পারলে শরীর সুস্থ থাকবে আর যাবতীয় সমস্যা থেকেও রেহাই পাবেন! আর এই ডায়েট নেট দুনিয়ায় আপেল ডায়েট নামেই পরিচিত।
পাঁচ দিন এই ডায়েট করলে ঝটপট ওজন কমবে। এই ডায়েটের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে আপেল। ডায়েটের প্রথম দিন প্রাতঃরাশ, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারে থাকে আপেল। এক্ষেত্রে ব্রেকফাস্টে ২টো, দুপুরে ১টা ও রাতে ৩টে আপেল খেতে পারেন।
ডায়েটের দ্বিতীয় দিন সকালে, রাতের ও দুপুরের খাবারে আপেল আর শাকসবজি রাখুন। সকালে ১টা আপেল ও ১ গ্লাস ফ্যাট ফ্রি দুধ খান। দুপুরে খান একটি আপেল। সঙ্গে শসা, গাজর, সবজি সেদ্ধ খান। আর রাতে খান ২টো আপেল। আবার দুপুরে আপেল স্লাইস করে ওতে মধু মাখিয়ে বেক করে দারুচিনির গুঁড়ো ছড়িয়েও খেতে পারেন।
তৃতীয় দিন থেকে পরবর্তী ৫ দিন ডায়েটে আপেলের পাশাপাশি বিভিন্ন ফল, সবজি, দুধ এই সমস্তও কিন্তু রাখবেন। সকালে আপেল, একটা হোল গ্রেন ব্রেড, একটা ডিম সিদ্ধ, একগ্লাস দুধ এবং চারটে খেজুর খান। দুপুরে একবাটি রাইতার মধ্যে আপেল কুচি করে মিশিয়ে দিন। সঙ্গে খান দুটো রুটি।
জলখাবারে ওটস-আপেলের পরিজ বানিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও গ্রিন টি, সবজির স্ট্যু এসব বেশি করে খান। রাতে গাজর, ব্রকোলি, আপেল সব সিদ্ধ করে টকদই দিয়ে স্যালাড বানিয়ে খান এক বাটি। এই স্যালাড বানিয়ে নিয়ে ১ ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন। এভাবে মেনে চলতে পারলে যেমন ওজন কমবে তেমনই শরীরও থাকবে ফিট।
এই পাঁচ দিনের ডায়েট প্ল্যানে চাইলে আপেল দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। সঙ্গে ভিটামিন, খনিজ, ম্যাঙ্গানিজের মতো উপকারী উপাদান আছে। যা একদিকে ডিটক্স হিসেবে কাজ করে, তেমনই এই ফলের গুণ শরীরে পুষ্টির জোগান দেয়। যে কারণে শরীরে পুষ্টির অভাব হয় না। অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্টও খেতে হয় না। পাঁচ থেকে সাতদিন পর ওজন কমে দেখুন। অবধারিত ভাবে কমবে। তবে ১০ দিনের বেশি কিন্তু এই আপেল ডায়েট করবেন না। এতে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে। আর এই ডায়েট শুরু করার আগে জেনে নিন বিস্তারিত। সেই সঙ্গে শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলে তবেই করবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডায়েট শুরু করুন।
আরও পড়ুন: Weight Loss: ডায়েট বা শরীরচর্চা ছাড়া ওজন কমাতে চান? এসেনশিয়াল অয়েলের গন্ধ শুঁকে নিন