Pickles Recipe: মা-ঠাকুমার হাতের আচার মিস করেন? শীত বিদায় নেওয়ার আগে নিজেই বানিয়ে নিন
Homemade Pickles: স্বাদের পাশাপাশি আচার খাওয়ার উপকারিতাও রয়েছে। আচার যেহেতু গাঁজন করে তৈরি করা হয় তাই এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে। এটা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
রবিবারের সকালে আলুর পরোটার সঙ্গে আচার থাকলে জমে যায় ব্রেকফাস্টে। বিশেষত, শীতের দিনে এই ধরনের জলখাবার খেতে বেশ ভালই লাগে। কিংবা ছুটির দিনে লং ড্রাইভে গেলে হাইওয়ের ধারে কোনও ধাবায় এই ধরনের জলখাবার খেতেও বেশ ভাল লাগে। তবে, আচার যে শুধু পরোটার সঙ্গেই খেতে হবে এমন কোনও মানে নেই। ভাত-ডালের সঙ্গে আচার মেখে খাওয়া যায়। এতে খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া রোজের পাতে একটু আচার নিয়ে বসার অভ্যাস এখনও বাঙালির মধ্যে রয়েছে।
স্বাদের পাশাপাশি আচার খাওয়ার উপকারিতাও রয়েছে। আচার যেহেতু গাঁজন করে তৈরি করা হয় তাই এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে। এটা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। এক সময় বাড়িতে মা-ঠাকুমারা শীতের রোদে সবজি শুকিয়ে মশলা বানিয়ে আচার তৈরি করতেন। সেটাই সারা বছর ধরে খাওয়া হত। তবে, এখন ভাঁড়ার ঘরের তাকে থরে থরে আর আচারের বোয়াম সাজানো থাকে না। এখন বাজারেই অনেক ধরনের আচার পাওয়া যায়। তবে, আপনি চাইলে এখনও বাড়িতে আচার বানিয়ে নিতে পারেন। শীত এখনও রয়েছে, এই সুযোগ বাড়িতে মরশুমি ফল বা সবজি দিয়ে আচার বানিয়ে নিন।
আমলকির আচার
উপকরণ: ২৫০ গ্রাম আমলকি, ১ চা চামচ জিরে, ১ চা চামচ জোয়ান, ২ টো এলাচ, ৫-৬ টা গোলমরিচ, ১ ইঞ্চি দারুচিনি, ২ টো শুকনো লঙ্কা, ২ টো কাঁচা লঙ্কা, ১ টা তেজপাতা, ৩ চা চামচ সর্ষের তেল, ১ চা চামচ মৌরি, ১ চা চামচ বিটনুন, ১ কাপ গুড়।
প্রণালী: জলে সামান্য নুন দিয়ে আমলকিগুলো সেদ্ধ করে নিন। এবার বীজগুলো বের করে নিন। এবার আমলকিগুলো ম্যাশ করে নিন। এবার সমস্ত মশলা শুকনো কড়াইতে ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। কড়াইতে তেল গরম করুন। এতে আমলকি দিয়ে দিন। এবার এতে মশলা দিয়ে অল্প নেড়ে নিন। এবার আমলকির আচার নামিয়ে নিয়ে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। এই শিশিটা আপনি শীতের রোদে বসিয়ে রাখতে পারেন।
রসুনের আচার
উপকরণ: ৫০০ গ্রাম গোটা রসুন, ১০০ গ্রাম কাঁচা লঙ্কা, ২ কাপ সর্ষের তেল, ১ কাপ তেতুলের কাই, ১ টেবিল চামচ আদা বাটা, ২ টো তেজপাতা, ১ টেবিল চামচ পাঁচফোড়ন গুঁড়ো, ১ চামচ গোটা সর্ষে, ১ চা চামচ কালোজিরে, স্বাদ অনুযায়ী নুন।
প্রণালী: প্রথমে কড়াইতে তেল গরম করুন। এতে তেজপাতা, কালোজিরা, গোটা সর্ষে দিয়ে ভেজে নিন। এবার রসুন দিয়ে অল্প আঁচে নেড়ে নিন। এবার এতে আদা বাটা ও তেতুলের কাই দিয়ে দিন। মিনিট পাঁচেক নেড়ে নিন। এবার এতে কাঁচা লঙ্কা, কালোজিরে ও সর্ষে দিয়ে দিন। এবার এতে ভিনিগার দিয়ে মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। তেলে ভেসে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। রসুনের আচার ঠান্ডা করে নিন। এবার রসুনের আচার নামিয়ে নিয়ে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন।