Homemade protein: প্রয়োজন নেই দামি প্রোটিন পাউডারের, ২ মিনিটে ঘরে তৈরি এই দেশি প্রোটিনেই শরীর হবে মজবুত
High protein shakes for weight loss: বাজার চলতি প্রোটিনের মধ্যে নানা রকম প্রিজারভেটিভ দেওয়া থাকে। যা শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়

যাঁরা নিয়মিত ভাবে জিম করেন বা শরীরচর্চা করেন তাঁদের সকলেরই ডায়েটের মধ্যে থাকে প্রোটিন পাউডার। কিংবা প্রোটিন শেক। ওয়ার্কআউটের পর প্রয়োজন হয় প্রোটিনের। তবে আজ নয়। বহুদিন আগে থেকেই চলে আসছে এই অভ্যাস। তখন অবশ্য বাজার চলতি কোনও প্রোটিন পাউডার নয়। ঘরোয়া ছোলা, বাদামেই ভরসা রাখতেন ব্যায়ামবীররা। বাজারচলতি যে সব প্রোটিন পাউডার পাওয়া যায় তা যে শরীরের পক্ষে ভাল এমন কথা কিন্তু জোর দিয়ে বলেন না কেউই। বরং তাতে শরীরে নানা প্রভাব পড়ে। টানা শরীরচর্চা করলে ঘাম ঝরে। শরীরের ক্যালোরি ক্ষয় হয়। আর তাই শরীপ ক্লান্ত লাগে। সেই ক্লান্তি দূর করে পেশি মেরামত করতেই প্রয়োজন হয় প্রোটিনের। বাজার চলতি প্রোটিনের মধ্যে নানা রকম প্রিজারভেটিভ দেওয়া থাকে। যা শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়। এক্ষেত্রে পুষ্টিবিদ শিখা আগরওয়াল দিচ্ছেন বিশেষ পরামর্শ। ছাতু থেকে তিনি প্রোটিন পাউডার বানিয়ে নেওয়ার দারুণ একটি কৌশল বলেছেন।
কেন ওয়ার্ক আউটের পর গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন?
ওয়ার্ক আউটের সময় টিস্যুর ক্ষয় হয়। আর সেই ক্ষতি পূরণ করতেই প্রয়োজন হয় প্রোটিনের। এই সময় প্রচুর পরিমাণ শক্তি ক্ষয় হয়। এর ফলে ক্লান্তি আসেই। ওয়ার্ক আউট পরবর্তী এই শারীরিক ক্লান্তি খুবই সাধারণ। তাই পেশীর মেরামতি, ওজন কমানোর জন্যই প্রোটিন রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
যে ভাবে বানাবেন এই প্রোটিন পাউডার
এই ছাতুর প্রোটিন বানাতে লাগছে ৪ চামচ বড় ছাতু, গোলমরিচের গুঁড়ো, সামান্য নুন, ভাজা জিরের গুঁড়ো এবং লেবুর রস। চলতি কথায় এভাবেই বানিয়ে নিন ছাতুর সরবত। আগেকার দিনে ব্যায়ামবীরদেরও ভরসা ছিল এই ছাতুর সরবত। এখনও বিহারের অনেক মানুষেরই পেট ভরাতে ভরসা এই সরবত। এই সব উপাদান একগ্লাস জলে মিশিয়ে সরবত বানিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে ২ বারও খেতে পারেন ছাতুর সরবত। ওয়ার্ক আউটের পর খেলে কোনও ক্ষতি হবে না।
যে সব উপকার পাবেন-
ছাতুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। যা আমাদের হজমের জন্য খুবই ভাল। সেই সঙ্গে পাকস্থলী আর অন্ত্র পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান করে।
ছাতুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের হার্টের জন্যেও ভীষণ ভাবে উপকারী। যাঁদের কোলেস্টেরল রয়েছে, হাই ব্লাডপ্রেসার রয়েছে তাঁরা ব্রেকফাস্টে নিয়ম করে এই ছাতুর সরবত খেতে পারলে খুবই ভাল। এতে হার্ট ভাল থাকে।
শরীরের যে কোনও প্রদাহ কমিয়ে বিপাক ক্রিয়া বাড়াতেও ভূমিকা রয়েছে ছাতুর। বিপাক ক্রিয়া বাড়লে ওজন কমানো অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। তাই রোজ ব্যায়াম না করলেও নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন ছাতুর সরবত।
