Special Recipe: লক্ষ্মীবারে নিরামিষ খানা! বনেদিবাড়ির মত চটপট বানিয়ে ফেলুন ‘ভোগের খিচুড়ি’
Lakshmi Puja: বৃহস্পতিবার অনেকের বাড়িতেই নিরামিষ রান্না করার প্রচলন রয়েছে। তাই এদিন সারাদিন মাছ-মাংস-ডিমের মত উপকরণগুলি রান্নায় ব্যবহার করা হয় না। লক্ষ্মীবারে অনেক বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে লক্ষ্মীপুজো হয়ে থাকে।
সামান্য মেঘলা আবহাওয়া। কখন যে ঝেঁপে অঝোর ধারায় বৃ্ষ্টি হবে, সেই আশায় আকাশের দিকেই চাতকের মত চেয়ে আছে বঙ্গবাসী। তবে বেশ কিছুদিন কালবৈশাখীর দাপটে সামান্য হলেও তাপমাত্রা নিম্নগামী। কিন্তু এই গরমেও দুপুরের পাতে কী পড়ছে, তার উঁকিঝুঁকি দেওয়ার অভ্যেস কিন্তু বদলায়নি। বৃহস্পতিবার অনেকের বাড়িতেই নিরামিষ রান্না করার প্রচলন রয়েছে। তাই এদিন সারাদিন মাছ-মাংস-ডিমের মত উপকরণগুলি রান্নায় ব্যবহার করা হয় না। লক্ষ্মীবারে প্রচুর বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে লক্ষ্মীপুজো হয়ে থাকে। সেইসব ক্ষেত্রে পুজোর ভোগ হিসেবে খিচুড়ির নৈবেদ্য হিসেবে প্রদান করা হয়।
আর লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে যে শব্দটি জড়িয়ে থাকে, তা নিঃসন্দেহে গরম গরম খিচুড়ি। চাল, ডাল এবং বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি খিচুড়ি রান্না কঠিন নয়। তবে ঘরে ঘরে সে স্বাদও আলাদা হয়। ভোগের খিচুড়ি রান্নায় চাই যত্ন। আর সে স্বাদ ভোলার নয়। দুর্গাপুজো, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় এই ভোগের খিচুড়ি খাওয়ার চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই এবার নিরামিষ রান্নায় বদল আনতে দুপুরের পাতে পড়ুক গোবিন্দভোগ চালের সুস্বাদু খিচুড়ি। কীভাবে রান্না করবেন, কী কী উপকরণ লাগবে, জেনে নিন…
উপকরণ
৫০০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল, ৫০০ গ্রাম সোনা মুগ ডাল, ১০০ গ্রাম মটর ডাল, ৪ টে তেজপাতা, এক চামচ পাঁচফোরন, ৪ টে শুকনো লঙ্কা, ২টো করে এলাচ,লবঙ্গ আর হাফ ইঞ্চি দারচিনি, ছোট চামচের এক চামচ গরম মশলা, ৫ চামচ ঘি, ২ চামচ সরষের তেল, দেড় চামচ হলুদ, দেড় চামচ করে আদা জিরে বাটা, জল প্রয়োজন মত, ৭-৮ টা চিরে নেওয়া কাঁচা লঙ্কা, লবন- চিনি স্বাদ মত, এক বাটি জলে ভিজিয়ে রাখা কাঁচা চিনে বাদাম
পদ্ধতি
মুখে লেগে থাকবে এমন কিছু রেসিপির মধ্যে ভোগের খিচুড় হল অন্যতম। এমন সুস্বাদু রেসিপিটি ঘরেই বানাতে প্রথম গোবিন্দভোগ চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখতে হবে। সোনামুগ ডাল শুকনো কড়াতে হালকা ভেজে ধুয়ে নিন। এবার মটর ডাল ধুয়ে কুকারে একটা সিটি দিয়ে নিতে হবে। হাড়িতে পরিমান মত জল দিয়ে মুগ ডাল সেদ্ধ করে নিন। অল্প নুন দিয়ে ডাল হাফ সেদ্ধ হয়ে এলে গোবিন্দভোগ চাল,মটর ডাল দিতে হবে। আরও বেশ খানিকটা গরম জল মিশিয়ে নিন। চাল ডাল সব কিছু থেকে দ্বিগুন জল দিতে হবে।
এরপর দু চামচ ঘি, এক চামচ হলুদ,এক চামচ লবন,গোটা গরম মশলা,তেজপাতা,ভিজিয়ে রাখা বাদাম দিয়ে মিশিয়ে ভাল করে ফুটতে দিতে হবে। হাতা দিয়ে নাড়তে হবে। ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে রান্না করতে হবে। চাল- ডাল সেদ্ধ হয়ে খিচুরি প্রায় হয়ে এলে কড়াইতে দু চামচ ঘি,সরষের তেল মিশিয়ে তাতে শুকনো লঙ্কা,পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিয়ে সুগন্ধ বেরোলে আদা, জিরে, হলুদ, নুন, চিনি মিশিয়ে মশলা কষিয়ে খিচুরিতে মিশিয়ে দিতে হবে। ভাল করে মিশিয়ে মিনিট তিন চার রেখে এক চামচ ঘি আর গরমমশলা ছড়িয়ে নামাতে হবে।