Saffron: এক চুটকি কেশরে কেল্লাফতে! এভাবে ব্যবহার করলে ত্বকের ভোল বদলে যাবে
কেশর প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় ও সৌন্দর্যচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থ থাকে। যা ত্বক উজ্জ্বল করতে, দাগ ছোপ হালকা করতে এবং ত্বককে তরতাজা রাখতে অত্যন্ত সাহায্য করে।

পুজোর আগে ত্বকের পরিচর্চা করার কথা অনেকের মাথায় আসে। কারণ পুজোর ৪টে দিন নতুন জামা পরে, সুন্দর মেকআপ করে প্যান্ডেল হপিংয়ের প্ল্যান বহু আগে থেকেই কষে নেন অনেকে। ত্বকে উজ্জ্বল ভাব এনে দিতে সাহায্য করে এক চুটকি কেশর (Saffron)। যা প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় ও সৌন্দর্যচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থ থাকে। যা ত্বক উজ্জ্বল করতে, দাগ ছোপ হালকা করতে এবং ত্বককে তরতাজা রাখতে অত্যন্ত সাহায্য করে। নীচে কেশর দিয়ে কিছু কার্যকরী ত্বকচর্চার উপায় তুলে ধরা হল।
কেশরের উপকারিতা ত্বকের জন্য —
- ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করে – কেশর রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ত্বক গ্লো করে।
- দাগ-ছোপ ও ব্রণর দাগ কমায় – এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান দাগ-ছোপ হালকা করতে সাহায্য করে।
- শুষ্ক ত্বক দূর করে – কেশর ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং ত্বক নরম রাখে।
- অকাল বার্ধক্য আটকায় – কেশরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষের ক্ষতি আটকায়।
- ত্বক উজ্জ্বল করে ও ট্যান কমায় – কেশর নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করলে ট্যান হালকা হয় এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা ফেরে।
কেশর দিয়ে ফেস প্যাক এবং তা কীভাবে ব্যবহার করবেন?
১. কেশর ও দুধ – ৩-৪ টি কেশর গরম দুধে ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। তুলোর বল দিয়ে এই মিশ্রণ মুখে লাগান। তারপর ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এমনটা করলে ত্বক উজ্জ্বল করবে ও দাগ হালকা করবে।
২. কেশর ও মধু – কেশর কয়েক মিনিট গরম জলে ভিজিয়ে নিন। তার সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। এই মিশ্রণটি ত্বকে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে ত্বক ময়েশ্চারাইজ এবং নরম হবে।
৩. কেশর ও চন্দনগুঁড়ো – চন্দনগুঁড়ো ও কেশর দুধে ভিজিয়ে একখানা পেস্ট বানান। সেই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এ বার ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই টিপস ব্রণ কমাতে পারবে ও ত্বককে ঠান্ডা রাখতে পারে।
৪. কেশর ও দই – ২ চামচ দইয়ের সঙ্গে কয়েকটি কেশর ভিজিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটি করে মুখে ভাল করে লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট রেখে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি শুষ্ক ত্বক নরম করবে ও গ্লো এনে দেবে।
৫. কেশর ও হলুদ – সামান্য হলুদ, কেশর ও দুধ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। সেটি ফেসপ্যাক হিসেবে মুখে লাগান। এই প্যাক লাগালে ট্যান দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।
মাথায় রাখবেন কেশর দামি ও খাঁটি হলে তবেই ত্বকে তা কার্যকরী হবে। ভেজাল কেশরে উপকার মেলে না। আর কেশর ব্যবহারে অ্যালার্জি আছে কি না, তা বোঝার জন্য আগে একটি প্যাচ টেস্ট করতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ বার এটি ব্যবহার করাই যথেষ্ট। এর ফল কিন্তু বেশ ধীরে পাওয়া যায়, তাই ধৈর্য ধরে এবং নিয়ম করে ব্যবহার করতে হবে।
