Belly Fat Reduce: অফিসে বসে বসে কাজ করে বাড়ছে পেটের মেদ? কী করে তাকে কমাবেন?
Belly Fat Reduce: স্থির জীবনধারার অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো—পেটের মেদ বা বেলি ফ্যাট। একবার এই মেদ জমতে শুরু করলে তা সহজে যায় না এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

আজকের কর্পোরেট ও অফিস-নির্ভর জীবনে দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে কম্পিউটার সামনে কাজ করা অনেকের দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে। এই স্থির জীবনধারার অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো—পেটের মেদ বা বেলি ফ্যাট। একবার এই মেদ জমতে শুরু করলে তা সহজে যায় না এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব।
১. সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন:
প্রসেসড ফুড, ফাস্ট ফুড, কোলা জাতীয় পানীয় যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বেশি করে খান ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন—সবজি, ফল, ওটস, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি। দিনে ৪-৫ বার অল্প অল্প করে খাবার খান। অতিরিক্ত খাওয়া একেবারেই নয়। সাদা চিনি ও চর্বি যুক্ত খাবার কমিয়ে দিন। অফিসে চা-কফির সঙ্গে বিস্কুট বা ভাজাভুজির পরিবর্তে রাখুন বাদাম, ফল, কিংবা ছাতু-দুধ।
২. অফিসে বসে হালকা ব্যায়াম করুন:
প্রতি ৩০-৪৫ মিনিট অন্তর চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান, সামান্য হাঁটুন বা স্ট্রেচিং করুন। অফিস ডেস্কেই কিছু সহজ ব্যায়াম—সিটিং টুইস্ট, লেগ রেইজ, নিট টু চেস্ট স্ট্রেচ করতে পারেন। লিফট এড়িয়ে সিঁড়ি ব্যবহার করুন, পার্কিং থেকে অফিসে হাঁটা দিয়ে আসুন।
৩. জল খাওয়ার অভ্যাস:
পর্যাপ্ত জল খেলে শরীর ডিটক্স হয় এবং বিপাক হার(Metabolism) বাড়ে, ফলে মেদ ঝরানো সহজ হয়। অফিস ডেস্কে একটি বড় বোতল রাখুন এবং প্রতি ঘন্টায় অন্তত এক গ্লাস জল পান করুন।
৪. স্ট্রেস কমান ও ঘুম ঠিক রাখুন:
অফিসের চাপ বা মানসিক দুশ্চিন্তা থেকেও কর্টিসল হরমোন বাড়ে, যা পেটের মেদ জমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন।
৫. নিয়মিত ব্যায়াম বা যোগা করুন:
অফিস শেষে দিনে ৩০ মিনিট হাঁটা, জগিং বা হালকা এক্সারসাইজ করুন। প্ল্যাঙ্ক, সাইড প্ল্যাঙ্ক, সাইকেল ক্রাঞ্চ, সুর্য নমস্কার ইত্যাদি ব্যায়াম বিশেষভাবে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
অফিসে বসে কাজ করলেও সঠিক খাদ্য, সচেতনতা, ও দৈনন্দিন ব্যায়ামের মাধ্যমে পেটের মেদ সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। নিয়মিত অভ্যাসেই রয়েছে মেদহীন ও সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।
