Kali Puja 2025: মা কালীর ক্রোধের শিকার হতে না চাইলে কালী পুজোর দিন এড়িয়ে চলুন এই কাজগুলি
অশুভ কাজ এড়িয়ে, মন-প্রাণ পবিত্র রেখে মা কালীর পুজো করলে জীবনে আসে আশীর্বাদ, সাফল্য ও শান্তি। কালীপুজোর প্রকৃত তাৎপর্যই হল অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা। তাই কালী পুজোর দিন নিজের অন্তরের অন্ধকারকেও জ্বালিয়ে তুলতে হবে ভক্তির প্রদীপে।

যে দিন মা কালী আসেন অশুভ শক্তি বিনাশ করতে, সেই দিনটায় কোনও ভুল আচরণ বা অপবিত্র কাজ করলে তার ফল বিপরীত হতে পারে। বহু প্রাচীন কাল থেকে এমনটাই বিশ্বাস করা হচ্ছে। কালীপুজো শুধু ভক্তির নয়, শুদ্ধতারও পরীক্ষা। তাই দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন কিছু কাজ না করাই শ্রেয়। তা হলে দেবীর পুজোতে কোনও ত্রুটি থাকে না এবং শুভফলও মেলে।
কালীপুজোর দিনে কোন কোন কাজ করা অশুভ বা নিষিদ্ধ?
রাগ, বিবাদ বা অভিশাপ দেওয়া
কালী পুজোর দিনে রাগ, কলহ বা কাউকে অভিশাপ দেওয়া অত্যন্ত অশুভ। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে উচ্চারিত নেতিবাচক বাক্য বহু গুণে ফিরে আসে।
মদ্যপান বা নেশা
যদিও তান্ত্রিক পূজায় কিছু রীতি আছে, তবে সাধারণ গৃহস্থদের জন্য নেশা বা মদ্যপান সম্পূর্ণ অশুভ ও অপবিত্র বলে গণ্য।
অশুচি থাকা বা পুজোস্থলে জুতো পরে যাওয়া
পুজার দিন শরীর ও মন দুটোই পবিত্র রাখা জরুরি। অশুচি অবস্থায় কালী পুজোতে অংশ নিলে শুভফল ব্যাহত হয়।
অকারণ পশুহত্যা
মা কালী শক্তির প্রতীক হলেও অহিংসা ও মমতার দেবী। তাই কোনও প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা করা বা কষ্ট দেওয়া অমঙ্গলজনক।
অন্ধকার ঘরে থাকা ও প্রদীপ না জ্বালানো
কালীপুজো মূলত অন্ধকারে আলো জ্বালানোর প্রতীক। তাই ঘর অন্ধকার রেখে, প্রদীপ না জ্বালিয়ে থাকা নেতিবাচক শক্তি টানে বলে মনে করা হয়।
অশুভ সময় বা তিথি ভেঙে পুজো করা
তন্ত্র মতে, অমাবস্যা তিথির বাইরে বা ভুল সময়ে পুজো শুরু করলে তা অশুভ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সঠিক সময় অনুযায়ী পূজা করাই শ্রেয়।
অহংকার নিয়ে পুজো করা
মা কালী ‘অহংকার বিনাশিনী’। নিজের লাভ বা প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে পুজা করলে তা শুভ নয়। বরং বিনয় ও আত্মসমর্পণই প্রকৃত আরাধনা।
অশুভ কাজ এড়িয়ে, মন-প্রাণ পবিত্র রেখে মা কালীর পুজো করলে জীবনে আসে আশীর্বাদ, সাফল্য ও শান্তি। কালীপুজোর প্রকৃত তাৎপর্যই হল অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা। তাই কালী পুজোর দিন নিজের অন্তরের অন্ধকারকেও জ্বালিয়ে তুলতে হবে ভক্তির প্রদীপে।
