Haunted Place in Darjeeling: ঘন কুয়াশায় পাইন বনে দাঁড়িয়ে অশরীরী! দার্জিলিঙের খুব কাছে এই ভূতুড়ে গ্রাম
Dow Hill in Kurseong: অর্কিড ও চায়ের বাগান, ঘন সবুজ অরণ্য আর সুন্দর পাহাড়ি রাস্তা—কার্শিয়াংয়ের অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামের মতোই সুন্দর ডাউ হিল। তবু এটি অন্যদের থেকে আলাদা।
হিমালয়ের কোলে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে শোনা যায় ভুতের গল্প। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ থেকে শুরু করে এমন ভূতুড়ে জায়গা রয়েছে পাহাড়ের কোলে। বিদেশে এমন জায়গায় হন্টেড ট্যুর করা হয়। যদিও এদেশে সে ব্যবস্থা নেই। তবে চাইলেই আপনি ভূতুড়ে জায়গায় ঘুরতে যেতে পারেন। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে হিমাচল কিংবা উত্তরাখণ্ড সম্ভব নয়। যদিও নিজের রাজ্যে এমন সুযোগ থাকতে অন্য রাজ্যে পারি দেবেনই বা কেন। পশ্চিমবঙ্গেও পাহাড়ের কোলে রয়েছে ‘হন্টেড প্লেস’। কার্শিয়াংয়ের ডাউ হিল।
দার্জিলিং, কার্শিয়াংয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রাম এখন বাঙালির অফবিট ডেস্টিনেশন। কিন্তু ডাউ হিলের বিকল্প এখনও পর্যটকেরা খুঁজে পাননি। বরং, ডাউ হিলের গল্পে এখনও শিউরে ওঠেন অনেকে। দার্জিলিং থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই হিল স্টেশন। ডাউ হিলের কোনও একটি অংশ ভূতুরে নয়। বরং, এই হিল স্টেশন জুড়ে রয়েছে নানা কাহিনি।
অর্কিড ও চায়ের বাগান, ঘন সবুজ অরণ্য আর সুন্দর পাহাড়ি রাস্তা—কার্শিয়াংয়ের অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামের মতোই সুন্দর ডাউ হিল। তবু ডাউ হিল অন্যদের থেকে আলাদা। এই হিল স্টেশনের রাস্তা মৃত্যুর দিকে ঢেলে নিয়ে যায়, ঘুরে বেড়ায় মুণ্ডহীন দেহ, স্কুলজুড়ে ভূতুড়ে কাণ্ড ঘটে চলে। এমন অগণিত ভূতুড়ে গল্প শোনা যায় ডাউ হিলকে ঘিরে। কার্শিয়াংয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে পর্যটকেরা আসেন ঠিকই, কিন্তু ডাউ হিল মূলত জনপ্রিয় এখানকার প্যারানর্মাল ক্রিয়াকলাপের জন্য। পাহাড়ে কোলে শুধু যে রাতে ভূতুড়ে কাণ্ড ঘটে তা নয়। দিনের আলোতেও ভৌতিক কাণ্ড যে কোনও সময় এখানে ঘটে যেতে পারে।
ডাউ হিল রোড এবং জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যে রাস্তা চলে গিয়েছে যা ‘মৃত্যুর রাস্তা’ বা ‘ডেথ রোড’ নামে পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দারা যাঁরা প্রায়শই জঙ্গলের মধ্যে কাজ করতে যান, তাঁদের দাবি এখানে ঘুরে বেড়ায় মুণ্ডহীন দেহ। এক ছেলের মুণ্ডহীন দেহ দেখা দিয়েই অদৃশ্য হয়ে যায়। এমন ঘটনা একাধিকবার দেখেছেন তাঁরা। ধূসর পোশাকে অশরীরীকেও ঘুরতে দেখা যায় এই রাস্তায়। লাল চোখে তাকিয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, যাঁরা এই ধরনের ঘটনা নিজে চোখে দেখেছেন তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন কিংবা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন।
ডাউ হিলকে ঘিরে যে সব ভূতুড়ে ঘটনার শোনা যায়, তার মধ্যে অন্যতম ভিক্টোরিয়া বয়েজ হাই স্কুল। ডাউ হিলের ঘন জঙ্গলের অবস্থিত ১০০ বছরের পুরনো স্কুল। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত শীতের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকলেও এর ভিতর প্যারানর্মাল ক্রিয়াকলাপ চলতে থাকে। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলের ভিতর থেকে উচ্চস্বরে মানুষের চেঁচানোর আওয়াজ এবং পায়ের শব্দ শুনেছে। যদিও এই স্কুলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে অনেক। কিন্তু আজও অবধি কেউ স্কুলে সচক্ষে ভূত দেখেনি।