Travelling Tips: করোনার আতঙ্কেই বেড়াতে যাচ্ছেন! সংক্রমণ ঠেকাতে কী কী মাথায় রাখবেন?
Omicron BF.7 in India: ইতোমধ্যেই মাস্ক পরা আবশ্যিক করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এছাড়া আগের মতই যাবতীয় করোনাবিধি ফের একবার অনুসরণ করার করা বলা হয়েছে।
করোনার প্রকোপ কমলেও এই মারণ ভাইরাস যে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে, তা কিন্তু কখনও দাবি করেননি বিজ্ঞানীরা। বরাবরই সতর্ক করে এসেছেন, করোনা এখনও আমাদের মধ্যেই রয়েছে। সমস্ত বিধিনিয়ম মেনেই পথচলায় অভ্যস্ত হওয়া উচিত। লকডাউন, নিউ নর্ম্যাল লাইফের গণ্ডি পেরিয়ে তাজা বাতাসের আভাস পেতেই সব ছেড়ে এখন মুক্ত আকাশে গা ভাসিয়েছে সাধারণ মানুষ। গুজরাত ও ওড়িশায় ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়তেই ফের করোনা আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে দেশবাসী। চিনে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যার প্রভাব আছড়ে পড়তে চলেছে সারা বিশ্বেই। এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে চিনে মৃত্যুর হারও বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। রোজই প্রায় লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ভারতেও যাতে করোনার মারাত্মক আকার ধারণ না করে, তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সরকার। ইতোমধ্যেই মাস্ক পরা আবশ্যিক করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এছাড়া আগের মতই যাবতীয় করোনাবিধি ফের একবার অনুসরণ করার করা বলা হয়েছে।
শীতের মরসুম, তাও আবার ছুটির মেজাজ। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে অনেকেই ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছেন। বিমান ও ট্রেনের টিকিট কাটাও হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে ফের করোনা আতঙ্ক গ্রাস করায় অনেকেই ভেবে পাচ্ছেন না আদৌও সেই যাত্রা সফল হবে কিনা। চিন, জাপান, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশে করোণা সংক্রমণ বাড়তেই নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। আপাতত মাস্ক পরায় বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ভ্রমণও করতে হবে নিরাপদে। সংক্রমণ এড়িয়ে কীভাবে পছন্দের জায়গায় ভ্রমণের সময় নিরাপদ এবং সুস্থ থাকার জন্য ৫টি টিপসের কথা জেনে নিন…
১. আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এড়িয়ে চলাই ভাল। বিশেষ করে, আমেরিকা, চিন, জাপানের মত জায়গাগুলিতে ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিন। শুধু তাই নয়, ভারতের যে সব জায়গায় করোনার সাব-ভ্যারিয়েন্টে ধরা পড়েছে, সেই রাজ্যে ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
২. জাহাজ, ট্রেন বা বিমান ভ্রমণও এড়িয়ে চলুন। আগের পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞতায় একাধিক প্রতিবেদন দাবি করেছে, ক্রুজ বা উড়ানে ভ্রমণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। সহযাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব না মানা হলে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে থাকে।
৩. করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত না হলেও এই ভাইরাস দ্রুত অন্যের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সংক্রমণ এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা। এছাড়া সংক্রমণ ঠেকাতে বার বার হাত ধোয়া আবশ্যিক। হোটেল, দোকান-বাজার গেলে হাত কোথায় দেওয়া হচ্ছে তার কোনও লক্ষ থাকে না। ফলে মুখ বা চোখে হাত অজান্তেই চলে যায়। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা তীব্র হয়।
৪. অন্যের সঙ্গে হাত মেলানো, জড়িয়ে ধরা, খাবার আদান-প্রদান করা থেকে বিরত থাকুন। কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ ও নাকে টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখুন। এছাড়া কনুই দিয়েও ঢেকে রাখতে পারেন। টিস্যু ব্যবহার করলে অবিলম্বে ডাস্টবিনে ফেলে দিন। এরপর হাত ধুয়ে বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
৫. করোনা ঠেকানোর সহজ উপায় হল মুখে মাস্ক পরা। তবে সেই ফেস মাস্কগুলি পরতেও হবে সঠিক উপায়েই। যখনই মাস্ক পরবেন, তখন মনে রাখবেন যেন আপনার নাক ও মুখ সঠিকভাবে ঢেকে রাখতে পারবেন। মাস্ক বারবার স্পর্শ করবেন না। একবার মাস্ক ব্যবহার করার পর সেটি নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে দিতে ভুলবেন না যেন।
৬. মাস্ক পরার আগে ও খোলার পরে অবশ্যই হাত ধোওয়া উচিত। হাতের কাছেই রাখুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। বাজার থেকে যে কোনও স্যানিটাইজার কিনবেন না। অ্যালকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজারই ভাইরাসকে মেরে ফেলতে সক্ষম।