Incredible India: তেলেঙ্গানায় রান্না হয়, মহারাষ্ট্রে শুতে আসেন! দুই রাজ্যে বাস করেন এই বাড়ির বাসিন্দারা
Maharashtra-Telangana: এই বাড়ির রান্নাঘর তেলঙ্গানায় এবং শোবার ঘর মহারাষ্ট্রে! বাড়িওয়ালা জানিয়েছেন, তাঁরা দুই রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরই সুবিধা ভোগ করেন!

তেলেঙ্গানা (Telangana) ও মহারাষ্ট্র (Maharashtra) রাজ্যের মধ্যে সীমানা নিয়ে বিরোধ এখনও মেটেনি। চন্দ্রপুর জেলার মহারাজগুদা গ্রামটি দু’টি রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত। চন্দ্রপুর (Chanfrachur) জেলার রাজুর তালুকের এই গ্রামে দুই রাজ্যের সীমান্তে তৈরি একটি বাড়ি অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই বাড়ির অর্ধেক অংশ তেলেঙ্গানার দিকে, বাকি অর্ধেক মহারাষ্ট্রে! এই বাড়িকে ঘিরে এখন সারা দেশ জুড়ে চড়ছে কৌতূহলের পারদ! এই সাধারণদর্শন বাড়িটির মালিক উত্তম পাওয়ার।
তিনি জানিয়েছেন, তাঁর এবং তাঁর ভাইয়ের পরিবারের ১৩ জন সদস্য এই বাড়িটিতে বাস করেন। তিনি আরও বলেন, বাড়িতে মোট কক্ষের সংখ্যা ৮। কয়েক বছর আগে যখন বাড়িটি ভাগ করা হয়, তখন তিনি এবং তার ভাই চারটি করে ঘর পেয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে তাঁর বাড়ির রান্নাঘর পড়ে তেলঙ্গানা জেলায়। আর শোবার ঘরটি মহারাষ্ট্রের দিকে। তিনি জানিয়েছেন, বাড়ির মধ্যে দিয়ে যাওয়া সীমান্ত নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। বাড়ির বাসিন্দারা বলেছেন, তাঁদের পরিবার উভয় রাজ্যের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুযোগসুবিধা পান। এমনকী তারাঁ উভয় রাজ্যের সরকারকেই কর প্রদান করে। এমনকী মহারাষ্ট্র এবং তেলেঙ্গানা— উভয় রাজ্যের সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের কাছেই যানবাহনের রেজিস্ট্রেশনও করেছেন। জানা গিয়েছে, বাড়ির একটি দেওয়ালে চকের দাগে নির্ধারিত হয়েছে দুই রাজ্যের সীমানা! লাইনের দুই পাশে তেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্র লেখা রয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই গ্রামের বহু বাসিন্দা উভয় রাজ্যের কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করেন এবং গ্রামটি মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা উভয় সরকারের দ্বারা গৃহীত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাক্ষী। বাসিন্দাদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ এবং পরিবারের ব্যক্তিগত শৌচাগার, আবাসন প্রকল্প এবং অনেক উদ্যোগ উভয় সরকার দ্বারাই সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে একটি বাড়ি
একই দেশে দুই রাজ্যের সীমান্তায় বাড়ির মতো, দুই দেশের মধ্যেও রয়েছে একটি বাড়ি। নাগাল্যান্ডের মোন জেলার লংওয়া গ্রামের একজন গ্রামপ্রধানের বাড়ির অর্ধেক ভারতে, বাকি অর্ধেক মায়ানমারে। বাড়ির মাঝখান দিয়ে চলে গেছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। এখানকার গ্রামবাসীরা দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণ করে এবং দুই দেশের মধ্যে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করে!
