Gajoldoba: পাহাড়ে উঠলে শ্বাসকষ্ট হয়? হিমালয়ের স্বাদ নিতে ঘুরে আসুন গজলডোবা

North Bengal Tourism: পাহাড়ের খুব উপরে না উঠেও হিমালয়ের স্বাদ নিতে পারবেন গজলডোবা থেকে। বাজেটের দিক দিয়েও ফিট বসে এই গ্রাম।

Gajoldoba: পাহাড়ে উঠলে শ্বাসকষ্ট হয়? হিমালয়ের স্বাদ নিতে ঘুরে আসুন গজলডোবা
গজলডোবাImage Credit source: Getty Images
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2023 | 9:46 AM

পর্যটকদের কাছে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উত্তরবঙ্গের গজলডোবা। শীতের ছুটিতে কাছাকাছির মধ্যে ঘুরে আসার জন্য অনেকেই বেছে নিচ্ছেন গজলডোবাকে। কয়েক বছর আগেও এখানে খুব একটা পর্যটকদের দেখা মিলত না। কিন্তু শীত এলেই প্রতি বছর পরিযায়ী পাখির দেখা পাওয়া যায় গজলডোবায়। সামনে হিমালয়, তার নীচে নীল জলাধার এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গজলডোবা। এখন আবার এখানে শিকারা পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন দফতর। কিন্তু উত্তরবঙ্গের কোথায় এই জায়গা, কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, রইল গজলডোবার খুঁটিনাটি।

গজলডোবা উত্তরবঙ্গের খুব ছোট্ট একটা গ্রাম। এক্ষেত্রে পাহাড়ি গ্রাম বললে একটু ভুলই হবে। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের ওদলাবাড়ির খুব কাছেই অবস্থিত এই গ্রাম। এর পশ্চিমে মহানন্দা আর পূর্বে তিস্তা। চাষবাসের জন্য তিস্তার উপর বাঁধ দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে এই গজলডোবায় নীল জলাধার তৈরি হয়েছে। এখানে তিস্তা খুব শান্ত। এই গজলডোবার জলাধারেই প্রতি বছর শীতের মরশুমে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির শ্রাইক, পেলিক্যান, ওয়াগটেল, রাডি শেলডাক দেখা পাওয়া যায়। তা দেখতেই মূলত ভিড় করেন পর্যটকেরা। তাই তো এখানে নৌকবিহারও বেশ জনপ্রিয়। এতদিন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের নৌকায় চেপেই ভ্রমণ করতে হত। খুব শীঘ্রই শিকারা পরিষেবা চালু হবে এই তিস্তা জলাধারে।

তিস্তা জলাধার ছাড়া মনোরম আবহাওয়ার জন্যও পর্যটকেরা গজলডোবাকে বেছে নেন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে আর ভাগ্য সঙ্গ দিলে গজলডোবা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘারও দেখা পাওয়া যায়। গজলডোবার একদিকে রয়েছে অপালচাঁদের জঙ্গল আর অন্যদিকে বৈকুন্ঠপুর অরণ্য। সুতরাং, এখানে হাতির দেখাও মিলতে পারে। তবে, শান্ত পরিবেশে দু’দিন ছুটি কাটানোর জন্য আপনি অনায়াসে গজলডোবাকে বেছে নিতে পারেন। গজলডোবা থেকে গরুমারা জাতীয় উদ্যান খুব কাছে। মাত্র ২৬ কিলোমিটারের পথ। সুতরাং, সেখানেও খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারেন।

যাঁদের উচ্চতা নিয়ে সমস্যা রয়েছে, ইচ্ছা থাকলেও পাহাড়ে উঠলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তাঁদের জন্য আদর্শ ডেস্টিনেশন হতে পারে গজলডোবা। পাহাড়ের খুব উপরে না উঠেও হিমালয়ের স্বাদ নিতে পারবেন গজলডোবা থেকে। ইতিমধ্যেই গজলডোবায় ২০০ একর জায়গা নিয়ে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। আগামী দিনে গজলডোবাকে উত্তরবঙ্গের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে এমনই নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন দফতর। সুতরাং, থাকার জায়গার এখানে খুব একটা অভাব হবে না।

কিন্তু ভুলেও গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে গজলডোবা যাবেন না। গজলডোবা যাওয়ার সেরা সময় হল শীতকাল। নভেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে গজলডোবা ঘুরে নেওয়া ভাল। তবেই তো পরিযায়ী পাখির দেখা মিলবে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে গাড়ি ভাড়া করে গজলডোবা যেতে পারেন। আবার মালবাজার স্টেশনে নেমেও মালবাজার যাওয়া যায়। খুব বেশি সময় লাগে না। বাগডোগরা থেকেও যেতে পারেন গজলডোবা।