AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mukutmanipur: বাজেটের মধ্যে শর্ট ট্রিপ করতে চান? মুকুটমণিপুরে রয়েছে সেই সুযোগ

Bankura Tourism: পাহাড়, জল আর জঙ্গলে ঘেরা মুকুটমণিপুর হতে পারে আপনি শহুরে জীবন থেকে ছুটি নেওয়ার সেরা জায়গা।

Mukutmanipur: বাজেটের মধ্যে শর্ট ট্রিপ করতে চান? মুকুটমণিপুরে রয়েছে সেই সুযোগ
মুকুটমণিপুর, বাঁকুড়া।
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2023 | 4:47 PM
Share

মূল্যবৃদ্ধির বাজারে বাজেট বুঝে বেড়াতে যেতে হয়। তাছাড়া এখন দু’দিনের ট্রিপ প্ল্যান করলেও নয়-নয় করে হাজার পাঁচেক টাকা খরচ হয়ে যায়। আর যদি পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে খরচের অঙ্ক আরও বেড়ে যায়। কিন্তু তা বলে কি দৈনন্দিন জীবন থেকে অবসর নেবেন না? অবশ্যই বেড়াতে যাবেন এবং বাজেটের মধ্যে বেছে নিন ডেস্টিনেশন। সামনেই ২৩ ও ২৬ জানুয়ারির ছুটি রয়েছে। এই সপ্তাহে একটা ছোট্ট ট্রিপ হয়ে যেতেই পারে। দূরে কোথাও নয়। মন ভাল করতে ঘুরে আসতে পারেন বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর। পাহাড়, জল আর জঙ্গলে ঘেরা মুকুটমণিপুর হতে পারে আপনি শহুরে জীবন থেকে ছুটি নেওয়ার সেরা জায়গা।

কলকাতা থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মুকুটমণিপুর। ‘রাঢ়বঙ্গের রানি’ নামে পরিচিত মুকুটমণিপুর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক দিয়ে কোনও অংশে কম নয় মুকুটমণিপুর। জলাধারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মুকুটমণিপুর। এখানে দক্ষিণে কংসাবতী ও কুমারী নদী মিলিত হয়েছে। আর মুকুটমণিপুর জলাধারের চারপাশে ছোট্ট ছোট্ট ঢিলা আর পাহাড়। এর পাশেই রয়েছে কংসাবতী বাঁধ। এটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ। এটি প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এগুলোই মূল আকর্ষণ মুকুটমণিপুরের।

এখানেই শেষ নয়। মুকুটমণিপুর জলাধারের পাড় ধরে হেঁটে গেলে পৌঁছে যাবেন পরেশনাথ পাহাড়ে। ভ্যানে চড়েও যেতে পারেন। এখানে পরেশনাথ শিব মন্দির রয়েছে। পরেশনাথ পাহাড় জৈন ধর্মাবলম্বী মানুষদের তীর্থস্থান। এখানে জৈন ধর্মের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। সময়ের সঙ্গে উন্নত হয়েছে মুকুটমণিপুরও। এখন এই পর্যটন স্থানের তালিকায় যুক্ত হয়েছে মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট ও ডিয়ার পার্ক।

পাহাড়ের উপর মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট। পাহাড়ের গায়ে একটি জলাধারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট। পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে তোলা হয়ে এই ভিউ পয়েন্টটি। এই মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট থেকে মুকুটমণিপুর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া মুকুটমণিপুরে রয়েছে বন পুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক।

দু’দিন হাতে সময় নিয়ে মুকুটমণিপুর গেলে এই সব স্থানগুলোই আপনি ঘুরে দেখতে পারবেন। ইচ্ছা হলে, মুকুটমণিপুর থেকে ঘুরে নিতে পারেন ঝিলিমিলি ও সুতানের জঙ্গল। এগুলো মুকুটমণিপুর থেকে প্রায় ৩৫ এবং ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঘন শাল-পিয়ালে ঘেরা জঙ্গল। ঝিলিমিলির কাছেই রয়েছে তালবেরিয়া হ্রদ। চাইলে এখানেও সময় কাটাতে পারেন।

রাত্রিযাপনের জন্য এখানে সরকারি ও বেসরকারি হোটেল রয়েছে। বেসরকারি বেশ কিছু হোটেলে তাঁবুতে থাকারও সুযোগ রয়েছে। কলকাতা থেকে গাড়ি করেও আপনি এখানে যেতে পারেন। এছাড়া রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস পরিষেবাও রয়েছে। হাওড়া থেকে পুরুলিয়াগামী ট্রেনে চেপে বাঁকুড়া স্টেশন নামতে হবে। সেখান থেকে মুকুটমণিপুর যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন।