AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Temples Near Kolkata: রাজ্যের যেসব মন্দিরে ঠাকুর দর্শন, ভোগের পাশাপাশি পাবেন অপার শান্তির খোঁজও

Bhog Prasad: ভোগ প্রসাদের একটা অদ্ভুত মাহাত্ম্য রয়েছে। যতই চালে-ডালে বাড়িতে খিচুড়ি বানানো হোক না কেন ভোগের খিচুড়ির স্বাদই আলাদা

Temples Near Kolkata: রাজ্যের যেসব মন্দিরে ঠাকুর দর্শন, ভোগের পাশাপাশি পাবেন অপার শান্তির খোঁজও
ভোগ প্রসাদের মাহাত্ম্য
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2023 | 9:16 PM
Share

আমাদের রাজ্যে প্রচুর মন্দির রয়েছে। আর সেই সব মন্দিরে ঈশ্বর দর্শন করে যেমন শান্তি মেলে তেমনই ভোগে মেলে পরিতৃপ্তি। এই প্রতিটি মন্দিরের নেপথ্যে একটি ইতিহাসও রয়েছে। মায়াপুর ইস্কনের মন্দির থেকে শুরু করে বেলুড় মঠ, দক্ষিণেশ্বর মন্দির, আদ্যাপীঠ, তারাপীঠ, কামারপুকুর, জয়রামবাটি, নারায়ণস্বামী মন্দির, জগন্নাথ মন্দির এই তালিকা ফুরোবার নয়। এছাড়াও প্রতি জেলাতে রয়েছে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্দির যার টানে সপ্তাহন্তে ভক্তসমাগম হয়। শহর ছাড়িয়ে প্রতি সপ্তাহে বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দির, মেদিনীপুরের কর্ণগড় মন্দির, খড়গপুরের জগন্নাথ মন্দির, বালাজি মন্দিরেও প্রতি সপ্তাহে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। ভোগ প্রসাদের একটা অদ্ভুত মাহাত্ম্য রয়েছে। যতই চালে-ডালে বাড়িতে খিচুড়ি বানানো হোক না কেন ভোগের খিচুড়ির স্বাদই আলাদা। তাই সপ্তাহে সময় করে মন্দির দর্শনে যেতে পারেন আর সেই সঙ্গে পেটপুরে ভোগও খেতে পারেন। রইল এমনই কয়েকটি ঠিকানা।

হাওড়া কিংবা শেয়ালদা স্টেশন থেকে দক্ষিণেশ্বর খুবই কাছে। এছাড়াও এখন যেতে পারেন মেট্রোতে। আর বাস তো আছেই। সকাল সকাল মা ভবতারিণীর দর্শন করে ভোগ খাওয়ার কুপন কেটে নিন। ভোগ সবার জন্য থাকে। সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে গিয়ে কুপন কেটে নিতে হবে। মূল্য ১০০ টাকা। তবে কুপন ছাড়া কোনও জায়গাতেই ভোগ পাবেন না। সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকে।

দক্ষিণেশ্বরের পাশেই রয়েছে আদ্যাপীঠ। এখানে কুপন কেটে ফেলতে হয় বেলা ১১.৩০ এর মধ্যে। সকালে এসে মন্দিরে আদ্যা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে চারপাশটা ঘুরে দেখতে পারেন। বেলা ১২ টা থেকে শুরু হয় প্রসাদ বিতরণ। প্রসাদ খেয়ে মন্দির চত্বরে একটু জিরিয়ে নিয়ে বিকেলে রওনা দিন বেলুড় মঠের উদ্দেশ্যে।

বেলা ১২ টার মধ্যে কুপন সংগ্রহ করতে হয় বেলুড় মঠেও। কোনও কুপন মূল্য নেই। আপনার খুশিমতো বা সামর্থ্য অনুযায়ী দান করে তাই দিয়ে কুপন কাটতে পারেন। পেট ভরে খিচুড়ি, তরকারি, পায়েস, চাটনি সব পাবেন। এছাড়াও রয়েছে কামারপুকুর, জয়রামবাটি। একটা দিন সকাল সকাল বেরিয়ে ঘুরে আসুন বিষ্ণুপুর , জয়রামবাটি, কামারপুকুর থেকে। আশ্রম চত্বর দেখুন, মন ভরে প্রসাদ খান সারা দিন দারুণ কাটবে।

হাওড়া থেকে ট্রেমে মাত্র ২ ঘন্টায় পৌঁছে যান মায়াপুর। মায়াপুরে অপূর্ব সব ভোগ প্রসাদ হয়। পুজো দিন, মন্দির ঘুরে দেখুন আর দুবেলা ৫০ টাকা কুপনের বিনিময়ে ভরপেট খান। মন ভরে যাবে।

তমলুকের বর্গভীমা মন্দির দর্শন করে মায়ের প্রসাদ মন ভরে খেতে পারেন। সকাল ৭.৩০ থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকে। পুজো দিন, কুপন কেটে পেটভরে প্রসাদ খান। ঘুরে আসতে পারেন মহিষাদল রাজবাড়ি থেকেও।

বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দিরের স্থাপত্যই মূল আকর্ষণ। এছাড়াও মন্দির চত্বরটিও খুব সুন্দর। পুজো দিয়ে, মন্দির দর্শন করুন। সকাল ১০ টার আগে কুপন সংগ্রহ করলে পাবেন ভোগও। নিত্য পুজা এবং নিত্য ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থা রয়েছে।