Jodhpur: যোধপুরের মনোমুগ্ধকর মেহরানগড় দূর্গ কেন বিশ্বের অন্যতম সেরা নিদর্শন, জানেন?

৪১০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এবং বিশাল প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত মনোমুদ্ধকর এই দূরে যাওয়ার আগে এর সম্বন্ধে কিছু বিশেষ তথ্য জেনে রাখা ভাল।

Jodhpur: যোধপুরের মনোমুগ্ধকর মেহরানগড় দূর্গ কেন বিশ্বের অন্যতম সেরা নিদর্শন, জানেন?
যোধপুরের মনোমুগ্ধকর মেহরানগড় দূর্গ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2021 | 1:34 PM

মরুরাজ্যের দুর্গম পাহাড়ের উপর একটি দুর্দান্ত দুর্গ অবস্থান করে। ভারতের অন্যতম চিত্তাকর্ষক ও চকমতর্‍কার মেহরানগড় দূর্গ একটি সেরা সংরক্ষিত দূর্গ হিসেবে পরিচিত। নীল আকাশের নীচে প্রকাণ্ড একটি দুর্গ এখনও আধিপত্য বিস্তার করে রয়েছে। সাবা বিশ্বের কাছে এই আকর্ষণীয় দূর্গটিকে একবার চাক্ষুস করতে সারা বছর বহু পর্যটকের ভিড় হয়। ৪১০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এবং বিশাল প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত মনোমুদ্ধকর এই দূরে যাওয়ার আগে এর সম্বন্ধে কিছু বিশেষ তথ্য জেনে রাখা ভাল।

ইতিহাস

যোধপুরের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত, এই প্রাচীন দূর্গটি রাঠোর রাজপুত রাজা রাও যোধার আমলে নির্মিত হয়েছিল। যোধপুরকে তার নতুন রাজধানী করার পর তিনি ১৪৫৯ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। দেশের অন্যতম বৃহত্তম দুর্গ এটি। দুর্গটি নির্মাণের সাথে বেশ কয়েকটি ‘অভিশাপের গল্প’ সংযুক্ত রয়েছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে দুর্গটি রাজা রাম মেঘওয়াল নামে একজনের কবরস্থান। দুর্গের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য, রাজা দেশনোকের শক্তিশালী করণী মাতাকে ডেকে এনে তাকে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে বলেছিলেন রাজা। পরবর্তী কালে রাজার পরিকল্পনা সার্থক ও সফল হয়েছিল। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, দুর্গটি এখনও নাকি আশীর্বাদপ্রাপ্ত তাই রাজ্যের অন্যান্য দূর্গ ধ্বংসস্তূপে পরিণচত হলেও এই দূর্গ এখনও সমৃদ্ধ রয়েছে।

মেহরানগড় দুর্গ পরিদর্শন

মেহরানগড় দুর্গে প্রবেশ করতে কোনও মূল্য লাগে না। কিন্তু দূর্গের ভিতরের আকর্ষণীয় জিনিস দেখার জন্য অবশ্যই টিকিটের প্রয়োজন। জয় পোল থেকে প্রধান প্রবেশদ্বার শুরু হয়। মনে রাখবেন, এই বিশালাকৃতি দূর্গের ভিতরে হাঁটাচলা করার জন্য অবশ্যই ভালমানের আরামদাক জুতো পরবেন। কারণ দূর্গের পথ বেশ খাঁড়া। প্রবীণ ও অসুস্থ পর্যটকদের জন্য যদিও লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে। দূর্গের আরেকটি প্রবেশ পথ হল ফতেহ পোল, যা নিয়মিত ব্যবহার করা হয় না। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দূর্গের দরজা খোলা থাকে।

একটি উঁচু পাহাড়ের উপরে নির্মিত, মেহরানগড় নির্মাণের একটি বিস্ময়কর কৃতিত্ব। জানা যায়, “নীল শহর” এর মানুষদের রক্ষা করার জন্য এই দূর্গ নির্মাণ করা হয়েছিল। দুর্গের আকর্ষণীয় নিদর্শন হল অসাধারণ বিস্তৃত উঠোন এবং প্রাসাদের চমত্‍কার যোগাযোগের মাধ্যম। সেই সঙ্গে রয়েছে মহারাজাদের সম্পর্কিত শিল্পকর্মের একটি চমত্‍কার সংগ্রহ। দুর্গের প্রবেশদ্বারে সাতটি দরজা আছে। এগুলোকে বলা হয় বিজয় গেট, ফতেহ গেট, গোপাল গেট, ভৈরব গেট, দেধ কামরা গেট, মার্টি গেট এবং সবশেষে লোহা গেট। এগুলির প্রত্যেকটি বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়েছিল এবং একটি অত্যন্ত নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে কাজ করে। একটিতে এখনো কামানের আঘাতের চিহ্ন আছে। জানা যায়, এগুলির মধ্যে একটিতে স্পাইক আছে যা হাতি এবং পশুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। বিজয় গেট জয়পুর এবং বিকানের সৈন্য উপর মহারাজা মান সিং বিজয় স্মরণে নির্মিত হয়েছিল। এছাড়াও উজ্জ্বল প্রাসাদ যেমন শিশ মহল (কাঁচপ্রাসাদ) এবং ফুল মহল (গোলাপ প্রাসাদ) আছে। গোটা দূর্গের দেওয়ালে প্রাচীন ভারতীয় শিল্প-ভাস্কর্য খোদাই করা আছে। মেহরানগড় জাদুঘরে ছয়টি ভিন্ন গ্যালারি রয়েছে: হাতির হাদাহ, পালানকুইন, দৌলত খানা, অস্ত্রাগার, পেইন্টিং এবং পাগড়ি গ্যালারি। জাতীয় ভূতাত্ত্বিক স্মৃতিস্তম্ভ, নাগনেচা মাতাজি মন্দির, চামুন্ডা মন্দির এবং রাও যোধা ডেজার্ট রক পার্ক মেহরানগড় দুর্গ পর্যটন আকর্ষণ।

অভিজ্ঞতা

অনেকেই জানেন না, প্রতিবছর যোধপুর ১২ মে প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে উদযাপন করে। এই দিনে দুর্গের প্রবেশ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হয়ে থাকে! এছাড়া চোকেলাও মহল টেরেস এবং মেহরান টেরেস (রুফ রেস্তোরাঁ) নামে অনসাইট রেস্তোরাঁয় ডাইনিং উপভোগ করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে চন্দ্রকান্ত ট্যুরিজম সার্কিট তৈরির সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের!