Period Diet: পিরিয়ডসের সময় পাকা পেঁপে খাওয়া যায় কি? PCOS থাকলে এড়িয়ে যাবেন না একেবারেই
Papaya Benefits for PCOS: পেঁপেতে রয়েছে ফাইবার, এনজাইম ও গ্লাইকোসাইড, এছাড়াও রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল, ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন। পেঁপেতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। পিরিয়ডের সময় পেঁপে খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়, তা একবার দেখ নিন এখানে...
প্রতি মাসে পিরিয়ডসের ডেট এলেই চিন্তায় ভাঁজ কপালে। আর পিরিয়ডসের কথা মাথায় এলে যেটা প্রথমে আসে, তা হল অস্বস্তি, তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা, মুড শুয়িং। তারমধ্যে খিদে না পাওয়া, কখনও কখনও বেশি খিদে পাওয়া, চকোলেট ও মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে পিরিয়ডসের সময় ডায়েটের কথা মাথায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুস্বাদু ও মনের মতো খাবার পেলে মনেরও সুখ। ব্যথা থেকে মুক্ত দিতে পারে এমন খাবার খাওয়া পিরিয়ডসের সময় বেশ জরুরি। পিরিয়ডস ও গর্ভাবস্থায় এমন কিছু আবার খাবার খাওয়া উচিত নয়, যাতে সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। কথায় আছে, পিরিয়ডস ও প্রেগন্যান্সির সময় পাকা পেঁপে খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এই কথা কতটা সত্যি?
গর্ভাবস্থায় পাকা পেঁপে খাওয়া স্বাস্থ্যকর, তবে কাঁচা পেঁপে নয়। কাঁচা পেঁপে ল্যাটেক্স ও প্যাপেইনে পূর্ণ, যা জরায়ু সংকোচন হওয়ায় গুরুতর অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তার কারণে গর্ভপাতও হতে পারে।
এমনকি পিরিয়ডের সময়ও পেঁপে খাওয়ার সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। কিন্তু পেঁপের জন্য কি সত্যিই পিরিয়ড চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে? পিরিয়ডের সময় পেঁপে খাওয়া উচিত কি?
সাধারণত, পেঁপে খাওয়ার পর শরীরে অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি হয়, তাতে ভ্রূণ এবং ঋতুস্রাব উভয়ই ক্ষতি হতে পারে। তবে এই সুপারফুড খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় ও অনেক মারাত্মক সমস্যা হতে পারে তার প্রমাণ করার জন্য কোনও গবেষণায় জানা যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গবেষণা অনুযায়ী, পাকা পেঁপে খেলে কোনও ক্ষতি হয় না, ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় পেঁপে খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী।
শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করতে, ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারে পেঁপে হল একটি উপকারী ফল। মাথায় রাখা উচিত, যেন বেশি মাত্রায় পেঁপে খাওয়া না হয়।
পেঁপেতে রয়েছে ফাইবার, এনজাইম ও গ্লাইকোসাইড, এছাড়াও রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল, ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন। পেঁপেতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। পিরিয়ডের সময় পেঁপে খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়, তা একবার দেখ নিন এখানে...
পেঁপে জরায়ুর পেশীতে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে। এছাড়া পেঁপের ক্যারোটিন উপাদান পেটের ব্যথা বা ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও পেঁপের গুণ অপরিসীম। অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ পাতে পাকা পেঁপে রাখতে পারেন।
এতে রয়েছে ফাইবার ও প্রাকৃতিক জলের উপাদান, যা অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে ও মাসিকের সময় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। তবে প্রয়োজনের বেশি খাবেন না। নিয়মিত পেঁপে খেলে জরায়ুর পেশী সঙ্কুচিত হয়, শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।