Ambubachi 2024: আজই শেষ হচ্ছে অম্বুবাচী! টানা ৩দিন ধরে সতীর ঋতুস্রাবে রাঙা হয় মন্দিরের নদী-পুকুর, সত্যিই কী তাই?

Kamakhya Temple: হিন্দুমতে, প্রতি আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পাদ অতীত হলে চতুর্থ পাদে আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদের মধ‍্যে ধরিত্রীদেবী ঋতুমতী হন। মহামায়া কামাখ‍‍্যাও ঋতুমতী হন এই সময়। তাই তিনদিন দেবী মন্দির বন্ধ থাকে। তিন দিন পর দেবী মন্দির খোলা হয়, দেবীর স্নান ও  বিশেষ পুজোপাঠের পর ভক্তদের দেবী দর্শন করার জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়। 

| Updated on: Jun 25, 2024 | 5:18 PM
প্রথা অনুযায়ী, আজই শেষ হচ্ছে অম্বুবাচী উত্‍সব। তিনদিন পর অম্বুবাচী তিথি শেষ হলে খুলে দেওয়া হয় গুয়াহাটির বিখ্যাত কামাখ্যা মন্দিরের দরজা। বার্ষিক অম্বুবাচী মেলার জন্য এই আদ্যাশক্তি পীঠের জাগ্রত মন্দির টানা তিনদিন ধরে বন্ধ থাকে। শুরু হয়েছিল ২২জুন। শেষ হতে চলেছে ২৫ জুন। এই তিন দিনের এই উত্‍সবের পর অসমীয়া আহার মাসে পড়ে।

প্রথা অনুযায়ী, আজই শেষ হচ্ছে অম্বুবাচী উত্‍সব। তিনদিন পর অম্বুবাচী তিথি শেষ হলে খুলে দেওয়া হয় গুয়াহাটির বিখ্যাত কামাখ্যা মন্দিরের দরজা। বার্ষিক অম্বুবাচী মেলার জন্য এই আদ্যাশক্তি পীঠের জাগ্রত মন্দির টানা তিনদিন ধরে বন্ধ থাকে। শুরু হয়েছিল ২২জুন। শেষ হতে চলেছে ২৫ জুন। এই তিন দিনের এই উত্‍সবের পর অসমীয়া আহার মাসে পড়ে।

1 / 8
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সতীর যোনিভাগ এই স্থানেই পড়েছিল। তাই এই পীঠকে যোনিপীঠও বলা হয়। অধিষ্ঠিত দেবী কামাখ্যা ও ভৈরব হলেন উমানন্দ। দেবী কামাখ্যাকে উর্বরতার দেবী বা “রক্তক্ষরণকারী দেবী” বলা হয়। প্রতিবছর ঠিক একই সময় একই তারিখে অম্বুবাচী মেলা উত্‍সব পালিত হয়। 

পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সতীর যোনিভাগ এই স্থানেই পড়েছিল। তাই এই পীঠকে যোনিপীঠও বলা হয়। অধিষ্ঠিত দেবী কামাখ্যা ও ভৈরব হলেন উমানন্দ। দেবী কামাখ্যাকে উর্বরতার দেবী বা “রক্তক্ষরণকারী দেবী” বলা হয়। প্রতিবছর ঠিক একই সময় একই তারিখে অম্বুবাচী মেলা উত্‍সব পালিত হয়। 

2 / 8
হিন্দুমতে, প্রতি আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পাদ অতীত হলে চতুর্থ পাদে আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদের মধ‍্যে ধরিত্রীদেবী ঋতুমতী হন। মহামায়া কামাখ‍‍্যাও ঋতুমতী হন এই সময়। তাই তিনদিন দেবী মন্দির বন্ধ থাকে। তিন দিন পর দেবী মন্দির খোলা হয়, দেবীর স্নান ও  বিশেষ পুজোপাঠের পর ভক্তদের দেবী দর্শন করার জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়। 

হিন্দুমতে, প্রতি আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পাদ অতীত হলে চতুর্থ পাদে আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদের মধ‍্যে ধরিত্রীদেবী ঋতুমতী হন। মহামায়া কামাখ‍‍্যাও ঋতুমতী হন এই সময়। তাই তিনদিন দেবী মন্দির বন্ধ থাকে। তিন দিন পর দেবী মন্দির খোলা হয়, দেবীর স্নান ও  বিশেষ পুজোপাঠের পর ভক্তদের দেবী দর্শন করার জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়। 

3 / 8
ভারতের বিভিন্ন স্থানে বহু প্রাচীন শক্তিপীঠ রয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশই অলৌকিক রহস্যের আধার বলেই বিশ্বাস করে থাকেন ভক্তরা। যোনিপীঠ কামাখ্যাকে ঘিরে সাধু, তন্ত্রসাধক থেকে সাধারণ মানুষ , সকলেই সমনা কৌতূহলী। অসমের গুয়াহাটি শহরের পশ্চিমাংশে নীলাচল পর্বতে অবস্থিত দেবী কামাখ্যার মন্দিরটি ৫১ পীঠের অন্যতম। এছাড়া ৪ আদি শক্তি পীঠগুলির মধ্যে অন্যতম।

ভারতের বিভিন্ন স্থানে বহু প্রাচীন শক্তিপীঠ রয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশই অলৌকিক রহস্যের আধার বলেই বিশ্বাস করে থাকেন ভক্তরা। যোনিপীঠ কামাখ্যাকে ঘিরে সাধু, তন্ত্রসাধক থেকে সাধারণ মানুষ , সকলেই সমনা কৌতূহলী। অসমের গুয়াহাটি শহরের পশ্চিমাংশে নীলাচল পর্বতে অবস্থিত দেবী কামাখ্যার মন্দিরটি ৫১ পীঠের অন্যতম। এছাড়া ৪ আদি শক্তি পীঠগুলির মধ্যে অন্যতম।

4 / 8
জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্য যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই সময়কালে অম্বুবাচী পালিত হয়। অর্থাৎ, ধরিত্রী এই সময়ে ঋতুমতী হন। তন্ত্র বিদ্যার জন্য বিখ্যাত কামাখ্যা মন্দির তান্ত্রিক ও অঘোরীদের মধ্যে তন্ত্র বিদ্যার জন্যও বিখ্যাত। দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে সাধুসন্তরা এখানে সাধনা করতে ভিড় করেন।

জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্য যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই সময়কালে অম্বুবাচী পালিত হয়। অর্থাৎ, ধরিত্রী এই সময়ে ঋতুমতী হন। তন্ত্র বিদ্যার জন্য বিখ্যাত কামাখ্যা মন্দির তান্ত্রিক ও অঘোরীদের মধ্যে তন্ত্র বিদ্যার জন্যও বিখ্যাত। দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে সাধুসন্তরা এখানে সাধনা করতে ভিড় করেন।

5 / 8
অম্বুবাচী চলাকালীন মন্ত্রোচ্চারণ ছাড়া কেবলমাত্র ধূপ-প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করা, মন্দিরে প্রবেশ ও দর্শন বন্ধ রাখা, বিগ্রহ স্পর্শ না করা, কিংবা গৃহ দেবতার নিত্যসেবা বাদ দেওয়া, বা মন্দির ও গৃহে কোনও দেবী মূর্তি বা পট থাকলে সেগুলি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার মতো নিয়মগুলি থাকলেও এই নিয়মের কোনও প্রমাণ শাস্ত্রে বা তন্ত্রে উপলব্ধ নয়।

অম্বুবাচী চলাকালীন মন্ত্রোচ্চারণ ছাড়া কেবলমাত্র ধূপ-প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করা, মন্দিরে প্রবেশ ও দর্শন বন্ধ রাখা, বিগ্রহ স্পর্শ না করা, কিংবা গৃহ দেবতার নিত্যসেবা বাদ দেওয়া, বা মন্দির ও গৃহে কোনও দেবী মূর্তি বা পট থাকলে সেগুলি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার মতো নিয়মগুলি থাকলেও এই নিয়মের কোনও প্রমাণ শাস্ত্রে বা তন্ত্রে উপলব্ধ নয়।

6 / 8
কিংবদন্তী অনুসারে, সতী যখন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন, তখন ভগবান শিব মায়ের দেহ নিয়ে ধরিত্রীর বুকে নানা স্থানে পাগলের মতো বিচরণ করছিলেন, সেই সময় শিবকে থামাতে ভগবান বিষ্ণু দেবীর দেহকে সুদর্শন চক্র দিয়ে ১০৮টি ভাগে বিভক্ত করেছিলেন। কামাখ্যা মন্দির যেখানে অবস্থিত সেখানে দেবী সতীর যোনি পড়েছিল বলে কথিত আছে।

কিংবদন্তী অনুসারে, সতী যখন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন, তখন ভগবান শিব মায়ের দেহ নিয়ে ধরিত্রীর বুকে নানা স্থানে পাগলের মতো বিচরণ করছিলেন, সেই সময় শিবকে থামাতে ভগবান বিষ্ণু দেবীর দেহকে সুদর্শন চক্র দিয়ে ১০৮টি ভাগে বিভক্ত করেছিলেন। কামাখ্যা মন্দির যেখানে অবস্থিত সেখানে দেবী সতীর যোনি পড়েছিল বলে কথিত আছে।

7 / 8
কথিত আছে যে, এই তিন দিনে সতীর ঋতুস্রাব হয়, যার কারণে মন্দিরের চারপাশের নদী ও পুকুরের জল লাল হয়ে যায় বলে মনে করা হয়। এছাড়া মন্দিরে দরজা বন্ধ করার আগে একটি সাদা কাপড় মন্দিরে রেখে দেওয়া হয়। এরপর ৩ দিন পর মন্দিরের দরজা খুললে সেই কাপড় লাল হয়ে যায়। এই লাল কাপড় 'অম্বুবাচী বস্ত্র' নামেও পরিচিত। পুজোর পর এই লাল কাপড় ছোট ছোট করে কেটে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়।

কথিত আছে যে, এই তিন দিনে সতীর ঋতুস্রাব হয়, যার কারণে মন্দিরের চারপাশের নদী ও পুকুরের জল লাল হয়ে যায় বলে মনে করা হয়। এছাড়া মন্দিরে দরজা বন্ধ করার আগে একটি সাদা কাপড় মন্দিরে রেখে দেওয়া হয়। এরপর ৩ দিন পর মন্দিরের দরজা খুললে সেই কাপড় লাল হয়ে যায়। এই লাল কাপড় 'অম্বুবাচী বস্ত্র' নামেও পরিচিত। পুজোর পর এই লাল কাপড় ছোট ছোট করে কেটে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়।

8 / 8
Follow Us: