
৩ জুন পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আরসিবি। বিরাটদের আইপিএল জয়ের বিজয় মিছিল বেরিয়েছিল আজ, ৪ জুন। আর তাতেই অত্যন্ত মর্মান্তিক ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে গেল বেঙ্গালুরুতে।

আরসিবির ওই বিজয় মিছিলে সামিল হতে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে সেই সব ছবি।

বিরাট কোহলি সহ আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের এক ঝলক কাছ থেকে দেখার জন্য সকলে ভিড় করেছিলেন। রাস্তায় থিকথিক করছিলেন দর্শকরা।

এদিন, ৪ জুন বুধবার বেঙ্গালুরু ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দর থেকে বিরাটদের টিম বাস যখন টিম হোটেলের দিকে যায়, সেই সময় রাস্তার দু’ধারে প্রচুর ভক্তরা এসেছিলেন।

এরপর বিধান সৌধে যান আরসিবির ক্রিকেটাররা। সেখান থেকে যখন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের দিকে রওনা হন ‘চ্যাম্পিয়ন’ শার্ট পরা আরসিবি টিমের সদস্যরা, সেই সময় দলের সমর্থকদের উন্মাদনা বেড়ে যায়।

পাস থাকা সমর্থকদের কাছে সুযোগ ছিল স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার। কিন্তু প্রচুর সমর্থক এমন সেখানে হাজির ছিলেন, যাঁদের কাছে পাস ছিল না। তাঁরা যখন স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ। এরপর বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করা শুরু করে। খবর পাওয়া গিয়েছে যে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এত যে ভিড় হবে, তা পুলিশ বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারেনি।

বিরাটদের কাছ থেকে দেখতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ১০ জন মারা গিয়েছেন। আহতের সংখ্যা আপাতত ৫০-এর বেশি। একটি ছয় বছরের বালিকাও আহত হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ, জানা গিয়েছে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ঢোকার একটিই গেট। আর সেই গেটের একাংশ দর্শকদের হুড়োহুড়িতে ভেঙে যায়। তাতেই বিপত্তি বাড়ে।

স্টেডিয়ামের বাইরে চরম বিশৃঙ্খলা এবং ১০ জন পদপিষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার পরও ভেতরে কোনও কিছু বদলায়নি। ৫০-এরও বেশি সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তারপরও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ভেতর চলছিল আরসিবির ট্রফি জয়ের সেলিব্রেশন। নেটিজ়েনরা প্রশ্ন তুলেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার ভূমিকাতেও। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও কীভাবে চলতে পারে বিজোয়ৎসব!