Guru Purnima: একজন নারী কি গুরুর পদে থেকে দীক্ষা দান করতে পারেন? আদর্শ গুরুর সংজ্ঞা কী?

বিশুদ্ধ মন্ত্র বা নাম উচ্চারণ করলেই যে তাঁকে প্রকৃত শিক্ষা বা দীক্ষা গুরু বলে চলে না। গুরু মধ্যে এমন বিশেষ গুণ থাকে যা শিষ্যদের সঠিক পথ দেখানোর দিশা দেখাবেন।

Guru Purnima: একজন নারী কি গুরুর পদে থেকে দীক্ষা দান করতে পারেন? আদর্শ গুরুর সংজ্ঞা কী?
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2021 | 12:53 PM

প্রকৃত গুরু কাকে বলে? গুরু শব্দের ‘গু’ শব্দের অর্থ হল ‘কু’ বা অন্ধকার, ‘রু’ শব্দের অর্থ ‘সু’ বা শুভ আলো বোঝায়।অর্থাত যিনি বিশ্বচরাচরের যে কোনও প্রাণির মন থেকে অন্ধকার দূর করে অন্তরের লুকায়িত আলোকে জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হবেন, তিনিই হলেন আদর্শ গুরু।

প্রসঙ্গত, বিশুদ্ধ মন্ত্র বা নাম উচ্চারণ করলেই যে তাঁকে প্রকৃত শিক্ষা বা দীক্ষা গুরু বলে চলে না। গুরু মধ্যে এমন বিশেষ গুণ থাকে যা শিষ্যদের সঠিক পথ দেখানোর দিশা দেখাবেন। তবে এই একুশ শতকে দাঁড়িয়েও অনেকে মনে করেন সনাতন ধর্মের গুরুদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষ রাজ করেছেন। তাঁদের প্রতি আলাদা শ্রদ্ধা থাকে মানুষের। তবে নারী বা মহিলা, তাঁরা নিজগুণে সবকিছু বাধাকে অতিক্রম করে তারপরই গুরুর স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

তন্ত্রশাস্ত্রমতে, নারী বা স্ত্রী গুরুর কাছে দীক্ষাগ্রহণের কথা উল্লেখ রয়েছে। তন্ত্রসার গ্রন্থে মহিলা গুরুর লক্ষণ হিসেবে বলা হয়েছে, জিতেন্দ্রিয়া, সাধ্বী, সদাচারিণী, সুশীল, সর্বমন্ত্রে অভিজ্ঞা, পুজানুষ্ঠান সম্বন্ধে জ্ঞান-ধারণা রয়েছে, এমন নারীকে গুরু হিসেবে মান্য করা যায়। অন্যদিকে, কাম , ক্রোধ , লোভ , মদ , মোহ ও মাৎসর্য্য – এই ছয় রিপুকে যিনি জয় করেছেন, যিনি আধ্যাত্মিকতার বিমল পথ অবগত করেছেন, যিনি নিষ্কপট ভাবে ইন্দ্রিয় দমন করতে পারেন, যিনি সত্যবাদী, সর্বদা ধর্মের পথে চলেন, যিনি স্থির, মন পবিত্র, যিনি আত্মদর্শন করেছেন- এমন জ্ঞানী, সত্যের প্রতি উৎস্বর্গী ব্যক্তি গুরু হওয়ার যোগ্য।

তন্ত্রশাস্ত্রে যে কথা বলা হয়েছে, সেই কথা সামজের কটা মানুষ মনে করেন, তা নিয়ে রয়েছে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব। কারণ পুরাণেই বলা হয়েছে, স্ত্রী ও পুরুষের গুরু হওয়ার সমান অধিকার রয়েছে। আদর্শ গুরু হিসেবে নারী-পুরুষ, জাতধর্মেরও কোনও বিচার নেই। তাই একজন শূগ্রাণী কোনও ব্রাহ্মণকে দীক্ষা দিতে পারেন।

এমনকি গুপ্তসাধনতন্ত্র গ্রন্থে স্ত্রী গুরুকে পুজো করা, ধ্যান করার পদ্ধতির কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া মাতৃকাতন্ত্র গ্রন্থে রয়েছে স্ত্রী গুরুর স্তব। গুরুর ধ্যান ধারণা, মন্ত্র স্তব করে একজন মানুষের দিনের কাজ শুরু হয়। একজন নারীও যে পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গুরু হতে পারেন, তা অনেক আগেই উল্লেখ করা হয়েছে তন্ত্রশাস্ত্রে।

আরও পড়ুন: Guru Purnima 2021: গুরু পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়, জানেন?