Guru Purnima 2021: গুরু পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়, জানেন?

হিন্দু বিশ্বাস মতে, এই তিথিতে মুণি পরাশর ও মাতা সত্যবতীর ঘরে মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর এই দিনটিকে বিশেষ মর্যাদা দিতেই ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়।

Guru Purnima 2021: গুরু পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়, জানেন?
গুরু পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2021 | 11:35 PM

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ২০২১ সালের জুলাই মাসে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি উৎসব ও পুজো রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, জুলাই মাস ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয়। যোগিনী একাদশী দিয়ে মাস শুরু হয়েছে, এরপর একে রথযাত্রা, দেবশায়নী একাদশী থেকে গুরু পূর্ণিমার মতো দিনগুলি রয়েছে। চতুর্মাস এই মাসেই শুরু হবে। তবে এই পুজো-পার্বনের মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তিথি রয়েছে এই জুলাইয়েই। গুরু পূর্ণিমা । হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের জন্য এই গুরু পূর্ণিমার তিথির মাহাত্ম্য রয়েছে। হিন্দু বিশ্বাস মতে, এই তিথিতে মুণি পরাশর ও মাতা সত্যবতীর ঘরে মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর এই দিনটিকে বিশেষ মর্যাদা দিতেই ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়।

গুরু শব্দটি সংস্কৃত গু এবং রু- এই দুটি শব্দ দিয়ে গঠিত। গু শব্দের অর্থ হল অন্ধকার ও অজ্ঞতা, অন্যদিকে করু শবদ্রে অর্থ হল আলো। যিনি অন্ধকার থেকে আলোয় পদার্পন করান তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ গুরু। মনের অন্ধকার দূর করে শিষ্যকে আলোর পথপ্রদর্শক হিসেবে ভূমিকা পালন করে গুরু স্থানীয় ব্যক্তিরা।

গুরু পূর্ণিমা একটি সনাতনী বৈদিক প্রথা, যার মধ্যে দিয়ে শিষ্য তাঁর গুরুকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। প্রাচীন আর্য সমাজে শিক্ষক ও গুরুর স্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ সেই সময় থেকে গুরু-শিষ্যের যে পারস্পরিক সম্মানবোধ কাজ করত, সেই অনভূতিকে জাগ্রত করতেই এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। গুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বৈদিক যুগ থেকেই আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিকেই বিশেষ দিন হিসেবে পালন করা হয়। এই বছর আগামী ৭ শ্রাবণ অর্থাত ২৪ জুলাই, শনিবার সারা দেশ জুড়ে পালন করা হবে গুরু পূর্ণিমা তিথি।

পৌরাণিক কাহিনি

হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, মহাদেব হলেন আদি গুরু। তাঁর প্রথম শিষ্য ছিলেন সপ্তর্ষির সাত ঋষি- অত্রি, বশিষ্ঠ, পুলহ, অঙ্গীরা, পুলস্থ্য, মরীচি, কেতু। আদিযোগী শিব এই তিথিতে আদিগুরু রুপে রূপান্তরিত হন। তিনিই এই সাতঋষিকে মহাজ্ঞান প্রদান করেন । তাই এই তিথি হল গুরুপূর্ণিমা। শুধু হিন্দু ধর্মেই গুরুপূর্ণিমার মাহাত্ম্য় রয়েছে তা নয়, বৌদ্ধ ধর্মেও গুরুপূর্ণিমার গুরুত্ব রয়েছে। জানা যায়, বোধিজ্ঞান লাভের পরে আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় সারনাথে প্রথম উপদেশ দেন গৌতম বুদ্ধ। আর সেই সময় থেকেই গুরুর স্থানে বিরাজ করছেন বুদ্ধ। ভারতের অনেক জায়গায় গুরু পূর্ণিমার দিনে মহাঋষি বেদব্যাসের জন্মতিথি হিসেবে পালন করা হয়। ঋষি পরাশর ও মত্স্যগন্ধা সত্বতীর সন্তান ছিলেন বেদব্যাস। কিন্তু জন্মের পর তাণকে পরিত্য়াগ করলে পরবর্তী কালে তিনিই মহাঋষিতে পরিণত হন। তিনি চতুর্বেদের সম্পাদনা ও পরিমার্জনা করেন। ১৮টি পুরাণ ছাড়াও রচনা করেন মহাভারত ও শ্রীমদ্ভগবত।