Chaitra Month 2024: চৈত্র মাসে নিম পাতার উপর অধিষ্ঠান করেন দেবী শীতলা! রোগভোগ থেকে বাঁচার সেরা উপায় জানুন
Hindu Rituals: গ্রীষ্মের আবহে আবহাওয়ার বদলে ডিহাইড্রেশনের মতো অসুস্থতায় ভোগেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াগুলিও সক্রিয় হয়ে ওঠে। যার কারণে শিশু থেকে প্রবীণ, সকলেই কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীন হলেই কাশি, সর্দি, পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি, গলা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

শেষ লগ্নে ফাল্গুন মাস, তারপরেই পড়বে চৈত্র মাস। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চৈত্রমাস একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে, এই মাস থেকে শুরু হয় নতুন একটি বছর। চৈত্র মাসে নবরাত্রি উত্সব অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি উত্সব। ভক্তরা এই সময় কাটরার বৈষ্ণো দেবীর যাত্রাতেও সামিল হন। চৈত্র মাসে গুড়িপারওয়া উত্সবও পালিত হয়। বসন্তের আমেদ কেটে গিয়ে তেজ বাড়তে থাকে সূর্যের। গ্রীষ্মের আবহে আবহাওয়ার বদলে ডিহাইড্রেশনের মতো অসুস্থতায় ভোগেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াগুলিও সক্রিয় হয়ে ওঠে। যার কারণে শিশু থেকে প্রবীণ, সকলেই কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীন হলেই কাশি, সর্দি, পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি, গলা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। চৈত্র মাস শুধু উৎসব জোড়াই নয়, প্রকৃতি ও পরিবেশের কারণে রোগভোগের আঁতুড়মাস বলা যেতে পারে। ধর্মীয় কাহিনি ও মতে, চৈত্র মাসে মা শীতলা ও দেবী দুর্গা নিম গাছ ও পাতায় অধিবাস করেন। ভক্তদের কঠিন রোগ থেকে বাঁচাতে ও মনের বাসনা পূরণ করার আশীর্বাদ প্রদান করেন এই দুই দেবী।
নিম গাছে দেবীদের বাস
নিম গাছের প্রায় সবকিছুই ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। নিম গাছের ধর্মীয় গুরুত্বও রয়েছে। শীতলা দেবী ও দেবী দুর্গা নিম গাছে বাস করেন বলে মনে করা হয়। তাই এ মাসের প্রতি মঙ্গলবার করে নিম গাছের পুজো করা হয়। এছাড়া মঙ্গলবার নিম গাছে জল নিবেদন করলে ও জুঁই তেলের প্রদীপ জ্বালালে শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি হনুমানজির আশীর্বাদও আপনার উপর বর্ষিত হতে থাকে। যদি সব ধরনের রোগ প্রতিরোধে নিম ব্যবহার করেন, তবে নিমের ঔষধি গুণের পাশাপাশি ভক্তরা দেবদেবীর আশীর্বাদও পান।
নিম দাঁত
চৈত্র মাসে ব্যাকটেরিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে প্রতিদিন সকালে নিম দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারেন। তাতে মুখ ও দাঁত যেমন পরিষ্কার থাকে, তেমনি পেটে থাকা ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হয়। নিম দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে নিমের ঔষধিগুণ লালার সঙ্গে মিশে পেটে পৌঁছায়, যা আপনার শরীরকে ডিটক্সিফাই করে ও বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও কমায়।
নিম পাতা খান
যতই স্বাদে তেতো হোক না কেন, নিম পাতার মতো আয়ুর্বেদিক ওষধুের কোনও বিকল্প নেই। নিমের পাতায় লুকিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর সব উপাদান। নিম পাতা খেলে পাকস্থলীর বাজে ব্যাকটেরিয়াগুলি ধ্বংস হয়, পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগের মতো অনেক রোগের ঝঁকিও কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুগারের রোগীরা যদি প্রতিদিন নিম পাতা গ্রহণ করেন, তাহলে সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ব্যথা হলেও নিয়মিত নিমপাতা খাওয়া উচিত।
নিম গাছে জল নিবেদন
চৈত্র মাসে নিম গাছের পুজোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। নিম গাছে জল নিবেদন করতে পারেন। তাতে দেবীর আশীর্বাদ বজায় থাকবে। এছাড়া ওম শীতলা মাত্রে নমঃ মন্ত্রটি জপ করতে পারেন। তাতে তুষ্ট হয়ে মা শীতলা সমস্ত রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে, আপনাকে আগলে রাখবেন তিনি। পাশাপাশি ভক্তের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধিও বিরাজ করে।
