Vinayaka Chaturthi 2021: বিনায়ক চতুর্থীতে এই নিয়মগুলি মেনে চললে সম্পদ বৃদ্ধি হয়!
বিনায়কা চতুর্থীর দিনটি গণেশের মাসিক জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুজো করা হয়ে থাকে । শিব-পার্বতী পুত্র বিঘ্নহরতা, গণপতিবাপ্পা, একদন্ত, বিনায়ক হেরম্ব ও পিল্লায়ার নামেও পরিচিত। এই শুভ দিনে ভক্তরা নিয়ম মেনে একদিন ব্রত ও উপবাস পালন করে থাকেন।
হিন্দু মতে, শিব ও পার্বতীর পুত্র গজানন গণেশ হলেন বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের প্রতীক ও দেবতা। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, গণেশের আরাধনা করলে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে তিনি মর্ত্যে অবতীর্ণ হন। কন্নড়, তামিল , তেলেগু ভাষায় এই উৎসব বিনায়ক চতুর্থী বা বিনায়ক চবিথি নামে পরিচিত। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের পুজো করার নিয়ম।
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, গণেশের স্ত্রোত, পুজা-পাঠ করলে সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হয়ে যায়। প্রতিমাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে বিনায়ক চুতর্থী পুজো হয়ে থাকে। গণেশ পুজোর সব নিয়ম মেনে ব্রত পালন করলে সমস্ত দুঃখ-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই বছর ১৪ই জুন, সোমবার পালিত হবে জ্যৈষ্ঠা মাসের বিনায়ক চতুর্থী তিথি। ১৩ জুন, রবিবার রাত ৯.৪০ মিনিটে তিথি আরম্ভ হয়ে ১৪ জুন, সোমবার রাত ১০.৩৮ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে এই শুভ তিথি। জেনে রাখা ভাল, এই তিথিতে শুভ মুহূর্ত থাকবে সকাল ১০.৫৮ মিনিট থেকে দুপুর ১.৪৫ মিনিট অবধি। শুভ তিথি অনুযায়ী ব্রত ও উপবাস রাখলে সমস্ত বাধা-বিঘ্ন দূর হয়ে যেতে পারে।
এই দিন বাড়িতে গণেশের আরাধনা করলে কী কী হতে পারে, তা সংক্ষেপে জেনে নিন…
– ভগবান গণেশের আরাধনা করলে গৃহে শান্তি ও সুখসমৃদ্ধি বজায় থাকে । গৃহের বাস্তুদোষ কেটে যায়।
– সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিষয়ে খুঁত থাকলে, গণেশ মূর্তির সামনে চৌকো মাপের রুপোর থালায় অর্ঘ্য নিবেদন কলে সেই দোষ কেটে যায়।
– বিনায়ক চতুর্থীর দিন বাড়ির প্রবেশদ্বারে নিমপাতা, আমপাতা দিয়ে তৈরি গণেশের মূর্তি রাখলে ঘরের মধ্যে ইতিবাচক বার্তাবরণ সৃষ্টি হয়।
– এই দিনে গণেশকে শাতাবারি উতসর্গ করলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।গৃহে ও মনে শান্তি বজায় থাকে।
– বিনায়াকা চতুর্থীতে শ্বেতবর্ণের প্রতিমা উপাসনা করলে সম্পদ বৃদ্ধি হয় ও ঘরে আনন্দের ধারা বজায় থাকে।