Aarti Rules 2022: পুজোর সময় কখন আরতি করলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে? হিন্দু ধর্মে আরতির মাহাত্ম্য জানুন

Hinduism: শাস্ত্রীয় পূজার বিধান অতি জটিল। কিন্তু আরতির অনুষ্ঠান খুবই সহজসাধ্য। যিনি শাস্ত্রীয় পূজার বিধি ও মন্ত্র না জানেন, তিনি আরতির মধ্য দিয়াই সকল পূজার ফল লাভ করতে পারেন।

Aarti Rules 2022: পুজোর সময় কখন আরতি করলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে? হিন্দু ধর্মে আরতির মাহাত্ম্য জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2022 | 6:20 AM

আরম্ + ক্তি ভাববাচ্যে = আরতি (Aarti)। “আ” অর্থে ব্যাপ্তি; “রতি” অর্থে প্রেম, প্রীতি, ভালবাসা ও অনুরাগ। আরতি = আরাত্রিক = নীরাজন। আরতিকে আরাত্রিক বা নীরাজন বলে। আমাদের হিন্দু ধর্ম (Hinduism) প্রায় ২৪ হাজার বছরের পুরনো। সনাতন ধর্মকে বৈদিক যুগের আগে বিবেচনা করা হয়। এর কারণ, ঋগ্বেদ যুগে বেদ প্রথম রচিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। পণ্ডিতগণ বেদ রচনার সূচনা দিয়েছেন প্রায় ২০০০ খ্রিস্টাব্দে। স্কন্দ পুরাণে বর্ণিত আরতির গুরুত্ব সম্পর্কে প্রথমে তথ্য পাই। সেখানেই বলা হয়েছে, আরতি করার বিশেষ নিয়ম (Arti Rules) আছে যেগুলি সবসময় সঠিক ভাবে করা উচিত। আরতির সময় অনেক কিছুর খেয়াল রাখতে হয়।

শাস্ত্রীয় পূজার বিধান অতি জটিল। কিন্তু আরতির অনুষ্ঠান খুবই সহজসাধ্য। যিনি শাস্ত্রীয় পূজার বিধি ও মন্ত্র না জানেন, তিনি আরতির মধ্য দিয়াই সকল পূজার ফল লাভ করতে পারেন। বস্তুতঃ আরতিই সকল পূজার সার। শাস্ত্রীয় পূজাও যদি বিধিহীন ও মন্ত্রহীন হয়, তবে আরতির মধ্য দিয়েই তা সম্পূর্ণতা লাভ করে। আরতির অর্থ – শ্ৰীভগবানের প্রতি প্রেম, প্রীতি, ভালবাসা ও অনুরাগ বৃদ্ধি। পূজার সময় যাই ঘটুক না কেন, তা আমাদের আরতির মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। তাহলে, আসুন জেনে নিই আরতি করার কিছু নিয়ম…

– আরতি করার প্রথম নিয়ম হল আরতির থালা পরিষ্কার হতে হবে। প্রদীপ ভাঙা যাবে না। প্রদীপ প্রতিদিন পরিষ্কার রাখতে হবে। এর অর্থ হল পুজোর সব সরঞ্জামের সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেওয়া উচিত।

– সব দেবদেবীর পূজার নিয়ম যেমন আলাদা, তেমনি আরতিরও আলাদা আলাদা নিয়ম আছে। যেমন, বিষ্ণুর আরতির সময়, আরতির থালায় হলুদ ফুল, দেবী বা হনুমানজীর আরতির সময় থালায় লাল ফুল, মহাদেবের আরতির সময় থালায় ফুল, বেল পাতা ও গণেশজীর আরতি থালায় ফুল ও দূর্বাও থাকতে হবে।

– আরতি করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে এবং কীভাবে এবং কতবার করা উচিত তা জানা প্রয়োজন। প্রত্যেক দ্রব্য দেবতার পদতলে চারিবার, নাভিদেশে দুইবার, মুখমণ্ডলে তিনবার এবং সর্বাঙ্গে সাতবার ঘোরাতে হয়। আরতির সময় দেবতার শ্রীচরণ, নাভি, মুখমণ্ডল ও পূত অঙ্গে দৃষ্টিপাত করে আরতি করতে হয়। অন্য কোনদিকে তাকাতে নাই। তখন মনে মনে অনুক্ষণ প্রার্থনা করতে হয়।

* বসে বসে আরতি করা উচিত নয়। ইষ্টদেবতার আরতি করার পর আরতির থালাটিকে পদ্মের জলে দুবার ঘুরিয়ে, তারপর ভগবানের কাছে আরতি নিয়ে বাড়ির সকলকে অর্পণ করুন।

– কখনই বাম হাতে আরতি করা উচিত নয়। আরতি করার সঠিক উপায় হল বাম হাতে। যে কোনও ব্যক্তি যখন আরতি করেন, সেই সময়ে আরতি স্পর্শ করা উচিত নয়। আরতি শেষ হলেই আপনি আরতির ওম নিন।

– শুদ্ধ মন ও পরিষ্কার শরীর নিয়ে আরতি করা উচিত। আরতির সময় কাপড় পরিষ্কার রাখতে হবে। আরতি করার সময় মাথা খোলা রাখা উচিত নয়। মাথায় দোপাট্টা বা রুমাল রাখা উচিত।

– প্রসঙ্গত, হিন্দুদের ঘরে তুলসী থাকে। উঠোন, বারান্দা বা ছাদে যেখানেই হোক না কেন,তুলসীর পূজা ছাড়া আরতি অসম্পূর্ণ। তাই গৃহে সুখ বজায় রাখতে তুলসী গাছের চারপাশ সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। সন্ধ্যের সময় খাঁটি দেশি ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালান। এতে আপনার ঘরে সুখ বজায় থাকবে।