পলকে কাটবে অভাব, ভাত রান্নার আগে এই নিয়ম মানছেন তো?
এই একমুঠো ভাতের যোগানের জন্যই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে লোকজন পরিশ্রম করে চলেছেন অনবরত। কথায় বলে- লক্ষ্মীকে অবহেলা করতে নেই।

হেঁশেলের সঙ্গে ভারতীয়দের অদ্ভুত যোগসূত্র রয়েছে। হিন্দুদের কাছে রান্নাঘর হল অন্নপূর্ণার ভাঁড়ার। এছাড়াও ভাত হল লক্ষ্মী। আর তাই লক্ষ্মীর মান-মর্যাদা বাঁচাতে সকলেই সদা তৎপর। এই একমুঠো ভাতের যোগানের জন্যই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে লোকজন পরিশ্রম করে চলেছেন অনবরত। কথায় বলে- লক্ষ্মীকে অবহেলা করতে নেই। কারণ, অনেকের বিশ্বাস, ভাতকে অবজ্ঞা করলে এমন একদিন সে কষ্ট জীবনে ফিরে আসে।
চাল প্রসঙ্গে বিভিন্ন মিথ রয়েছে রামায়ন আর মহাভারতেও। ভাত বসানোর সময় কৌটো থেকে চাল নিয়ে তিনবার অল্প অল্প করে চালের ড্রাম বা ওই কৌটোতেই রেখে দেবেন। চাইলে আলাদা হাঁড়িতেও রাখতে পারেন।
প্রবাদ আছে এভাবে চাল রাখলে নাকি কোনও দিনই সঞ্চয় ফুরিয়ে যায় না। আজীবন চালের ড্রাম ভরা থাকে। আগেকার দিনে বাড়ির গৃহিনীরা এভাবেই চাল সঞ্চয় করে রাখতেন। যাতে অভাব-অনটনের দিনেও কোনও রকম সমস্যায় না পড়তে হয়। এছাড়াও বলা হয় এইভাবে চাল রাখলে লক্ষ্ণীও বুঝতে পারেন যে আপনি সঞ্চয়ী। কথায় বলে লক্ষ্মী বড়ই চঞ্চলা। কিন্তু এভাবে চাল সঞ্চয় করলে সারা বছর আপনার উপর লক্ষ্মীর কৃপা বর্ষণ হবে।
