Toe Rings: নারীর পায়ের আঙুলের অলঙ্কার আঙ্গোট! জ্যোতিষমতে এই গয়নার গুরুত্ব জানেন কি?
Importance of Bichiya: জ্যোতিষমতে এই অলঙ্কার পরলে কী কী সুফল মেলে। নারী শরীরে অলঙ্কার পরিধানের সর্বশেষ স্থান হল পায়ের আঙুল। শুধু হিন্দু নয়, অন্য ধর্মেও বিবাহিত নারীর পায়ের আঙুলে এমন আংটি পরার রীতি রয়েছে।
গত কয়েক শতাব্দী ধরে বিবাহিত হিন্দু নারীর পরিধানের অন্যতম অলঙ্কার হল আঙ্গোট (Toe Rings )! বর্তমানে বহু অবিবাহিত মেয়ে ফ্যাশনের (Womens Fashion) জন্য আঙ্গোট পরলেও সনাতন হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুসারে, শুধুমাত্র বিবাহিত মহিলারাই আঙ্গোট পরিধানের অধিকারিণী হন। বস্তুতঃ আঙ্গোট সম্পূর্ণভাবেই মধুচন্দ্রিমার স্মৃতিচিহ্ন বিশেষ। অবশ্য জ্যোতিষমতে (Astrology) এই ভূষণের সঙ্গে বহু শুভত্ব জড়িয়ে থাকে। শুধু হিন্দু নয়, অন্য ধর্মেও বিবাহিত নারীর পায়ের আঙুলে এমন আংটি পরার রীতি রয়েছে। পায়ের আংটি সাধারণত রুপোর (Silver) তৈরি হয়। শোনা যায় ত্রেতা যুগ থেকেই নাকি দেহমণ্ডনের অংশ হিসেবে পায়ের আঙুলে রুপোর অলঙ্কার পরার রীতি শুরু হয়েছিল!
পুরাণ অনুসারে, সীতা মায়ের বিবাহের পরে তিনিও পায়ের আঙুলে পরেছিলেন অঙ্গুরী। রাবণ তাঁকে বাতাসে ভাসমান রথে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি তাঁর সমস্ত অলঙ্কার একটা একটা করে পথে ফেলতে ফেলতে যাচ্ছিলেন যাতে রাম, লক্ষণ জানতে পারেন তাঁকে কোন পথে হরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সময়েও আঙ্গোটের ব্যাপারে উল্লেখ ছিল যা সীতা মা পথ মধ্যে খুলে দিয়েছিলেন!
জ্যোতিষমতে এই অলঙ্কার পরলে কী কী সুফল মেলে। নারী শরীরে অলঙ্কার পরিধানের সর্বশেষ স্থান হল পায়ের আঙুল। জানলে অবাক হবেন, বিবাহকালে একজন নারীর কপালের টিকলি থেকে শুরু করে পায়ের আঙুলের মতো অঙ্গে গয়না পরার পিছনে রয়েছে বিরাট অর্থ। কপালে টিকলি সূর্যের শক্তিকে আবাহন করে, একইরকমভাবে আঙ্গোট চন্দ্রের স্থিতিকে নির্দেশ করে। কারণ চন্দ্র আমাদের মন ও মস্তিষ্ক শান্ত রাখে যা বিবাহিত দম্পতির জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়।
আঙ্গোট ধারণের স্বাস্থ্যগুণে—
আয়ুর্বেদ মতে দুই পায়ের আঙুলে আংটি পরিধান করলে মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল নিয়মিত হয়। এই আংটি অনেকটা আকুপ্রেশারের মতো কাজ করে। সায়াটিকা স্নায়ুর উপর চাপ দেয়ে আঙ্গোট। এহেন চাপ শরীরের নানা কার্যকলাপকে স্বাভাবিকভাবে জারি থাকতে সাহায্য করে। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। সাধারণ ভাবে মনে করা হয় পায়ের দ্বিতীয় আঙুলের সঙ্গে মহিলাদের ইউটেরাসের সুস্থতার যোগ রয়েছে। এছাড়া ধাতু হিসেবে রুপো শরীর শীতল রাখতে সাহায্য করে।
বিবাহের সময় নারীর ষোলো শৃঙ্গারের যে উল্লেখ আমরা পাই, সেখানেও আঙ্গোট অন্যতম শৃঙ্গার। আঙ্গোট পরার সময় খেয়াল রাখুন—
• অবিবাহিত নারী কখনওই আঙ্গোট পরবেন না। • রুপো ছাড়া অন্য ধাতুর আঙ্গোট পরা উচিত নয়। সোনাও নয়। • নিজের পরার আঙ্গোট কখনওই অন্যকে উপহার হিসেবে দেওয়া উচিত নয়। • আঙ্গোট পরিবারে অর্থাগমের পথ পশ্রস্ত করে বলে মনে করা হয়। • পায়ের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় আঙুলে পরতে হয় আঙ্গোট।