Vastu Tips for Home: দারুণ কার্যকরী এই বাস্তু টিপস! মেনে চললেই গৃহ ভরে উঠবে সুখ-ঐশ্বর্যে
ঘরে সামান্য কতকগুলি পরিবর্তন আনলেই খণ্ডন করা যায় বাস্তু দোষ। পাওয়া যায় অভাবনীয় সুফল। প্রশ্ন কেমন ধরনের পরিবর্তন?
জল, বায়ু, আকাশ, আগুন এবং মাটি হল বাস্তু শাস্ত্রের পাঁচটি মৌলিক উপাদান। এই পাঁচটি মৌলিক উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য আনাই হচ্ছে বাস্তু। ফলে গৃহে বারবার দুর্ঘটনা বা উন্নতিতে বাধা পড়া মানেই বাস্তুতে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। মজার বিষয় হল, ঘরে সামান্য কতকগুলি পরিবর্তন আনলেই খণ্ডন করা যায় বাস্তু দোষ। পাওয়া যায় অভাবনীয় সুফল। প্রশ্ন কেমন ধরনের পরিবর্তন? দেখা যাক।
দেওয়ালের রং পরিবর্তন: ঘরের দেওয়ালের জন্য বাছুন প্রাণবন্ত, উদ্দীপক এবং আধুনিক রং। কারণ ঘরের রঙই যেমন আপনার চোখকে দেবে আরাম, তেমনই মনকেও করবে শান্ত। সম্ভব হলে নয়নাভিরাম ছবি টাঙিয়ে রাখুন দেওয়ালে। দেওয়ালে জোলাতে পারেন সুন্দর পেন্টিং। ঘরের দেওয়ালে সুন্দর প্রকৃতির ছবি টাঙিয়ে রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। ছবির সৌন্দর্যই আপনার মনকে রাখবে দুশ্চিন্তামুক্ত এবং শান্ত। মনে রাখবেন সহজ সরল ছবিই ঘরে টাঙানোর জন্য উপযুক্ত। জটিল ধরনের যে কোনও শিল্পকর্ম এড়িয়ে চলাই ভালো কারণ তা মনের জটিলতা বাড়ায়।
আসবাবপত্র: বাড়ির মাঝখানে কোনও আসবাব রাখবেন না। বাড়ির কেন্দ্রস্থলকে বলা হয় ‘ব্রহ্মস্থান’। তাই কেন্দ্রস্থল সবসময় ফাঁকা রাখা উচিত। নাহলে পজিটিভ এনার্জি বা ইতিবাচক শক্তি সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না।
ঘরে রাখুন সিংহাসন বা মন্দির: আজকাল ঘরবাড়ি এতটাই ছোট আকারের হয় যে সেখানে মন্দির বা সিংহাসন রাখার জায়গা থাকে না। সমস্যা হল এই কারণে বিশ্বাস ও ভরসার বাতাবরণ তৈরি হওয়ার সুযোগ হয় না। ঐশ্বরিক কৃপা থেকেও বঞ্চিত হতে হয় বাড়ির বাসিন্দাদের। অথচ এই ব্রহ্মাণ্ডই তৈরি হয়েছে ঈশ্বরের কৃপায়। সমস্যা হল বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের গৃহে তাঁর জন্য সামান্য জায়গাও বরাদ্দ করতে পারি না! তবে সরাসরি সিংহাসন বা মন্দির স্থাপন না করা গেলেও অন্তত পক্ষে ঈশ্বরকে চিত্রিত করে এমন কোনও চিহ্ন ঘরে রেখে দিন। ফলে তাঁর নজর থাকবে আপনার গৃহে। যে কোনও অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে বাড়ি।
বেডরুমে ইলেকট্রনিকস-এর সামগ্রী নয়: যে কোনও ধরনের ইলেকট্রনিকস-এর সামগ্রী বেডরুমে রাখা বিধিসম্মত নয়। কারণ যে কোনও ইলেকট্রনিকস-এর বস্তু দম্পতির মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরিতে বাধা দান করে। তবে একান্তভাবেই তা করা সম্ভব না হলে কয়েকটুকরো ফ্লুরাইট পাথর এনে বেডরুমে রাখুন। তার ফলে ইলেকট্রনিকস-এর বস্তু থেকে বিকিরিত নেতিবাচক প্রভাব কমবে।
বাড়িতে ঝোলান ঝাড়বাতি: ব্যালকনি বা লিভিং রুমে স্যান্ডেলিয়া কেলাস বা ঝাড়বাতি ঝোলানো অত্যন্ত শুভ। এভাবে গৃহের পজিটিভ এনার্জি বাড়ানো যায়। এছাড়া ঝাড়বাতির দোলনে তৈরি হওয়া মৃদু মিষ্টি শব্দ শ্রবণে মন শান্ত হয়। মাথা থেকে দূরে সরে দুশ্চিন্তা।
বন্ধ ঘড়ি থেকে সাবধান: ঘরে ঘড়ি বন্ধ থাকতে দেবেন না। যে কোনও বন্ধ ঘড়িই গৃহের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ডেকে আনে। সুতরাং ব্যাটারি শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে তা বদলান। ইলেকট্রনিকস-এর ঘড়ি খারাপ হলে সারান। না সারাতে পারলে বদলে ফেলুন।
গৃহ পরিষ্কার রাখুন: একটি পুরনো প্রবাদ রয়েছে, ‘পরিচ্ছন্ন থাকাই ঈশ্বরের নিকট থাকা।’ সুতরাং আপনার উচিত সবসময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা যাতে ঘরে কোনও অতিথি এলে সে আনন্দ পায়।
মাকড়শার জাল সরান: গৃহে মাকড়শার জাল থাকলে তা আর্থিক উন্নতিতে এবং. শারীরিক ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা ডেকে আনে। বারবার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় গৃহস্বামীকে। অসুখেও ভুগতে হয় তাঁকে। তাই ঘরের কোনও অংশে মাকড়শার জাল দেখলে ঝেড়ে ফেলুন।
বাথরুমের দরজা বন্ধ রাখুন: টয়লেট ব্যবহার না করলে ঢাকনা বন্ধ রাখুন। টয়লেট থেকে নেতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হয়। বন্ধ রাখুন ওয়াশরুমের দরজাও। কারণ ওয়াশরুমের দরজা খোলা রাখলে তা নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে গৃহে।
আরও পড়ুন: Brighter Luck: নতুন বছরে ভাগ্যকে উজ্জ্বলতর করতে প্রতিদিন সকালে এই কাজগুলি করতেই হবে আপনাকে!